
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাসের আগুনে মা-ছেলে দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নগরীর নিতাইগঞ্জের মোল্লাপাড়া এলাকার একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন—সীমা বেগম (৫০) ও তার ছেলে রোমান হোসেন (২৫)। এ ঘটনায় মা সীমা বেগমের শরীরের ৬০ শতাংশ ও ছেলে রোমানের শরীরের ১৪ শতাংশ পুড়ে গেছে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাড়িটিতে মা-ছেলে দুজনেই থাকেন। সীমা বেগম গৃহিণী। তার ছেলে রোমান স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন। রাতে তাদের বাসায় লাইন থেকে গ্যাস বের হওয়ার গন্ধ পান। তবে বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েন।
সকালে সীমা বেগম ঘুম থেকে উঠে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গিয়ে দিয়াশলাই জ্বালালে সেখানে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই পুরো ঘরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে সীমা বেগম ও ঘুমিয়ে থাকা রোমানের শরীরে আগুন লেগে যায়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ওই বাসায় গিয়ে আগুন নেভায়। তারপর তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, সীমা বেগমের শরীরের ৬০ শতাংশ এবং রোমানের শরীরের ১৪ শতাংশ পুড়ে গেছে। সীমার বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি রাখা হয়েছে। আর রোমানকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।