ছাতক প্রতিনিধি
ছাতকে আ’লীগ নেতা ও বাউল কবি ও আজর আলী স্মৃতি পরিষদ এর সভাপতি আশিক আল মাঝভান্ডারি নামে বাউলকে হত্যার অপচেষ্টার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে ঝড় বইছে সামাজিক ফেইস বুকে মাধ্যমেই। তাকে গুরুত্ব আহত বাউলকে সিলেটের রাবেয়া রাগিব মেডিক্যাল হাসপাতালে ৫তলায় অথোপেডিক ৯নং ওয়াড়ের ৩২ নম্বার বেড সিলেটের অথোপেডিক এন্ড ট্রমাটোলজী বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার সাইরাস সাকিবা অধিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাড়ি চাপা আঘাতের যন্ত্রনায় চিৎকার দিয়ে কাঁদছেন কবি । তার কান্না এক সপ্তাহ ধরেই থামছেন না বলে তার স্ত্রী দাবি করে বলেন তার দু’ চোখে দিয়ে বের হচ্ছে নোনা জল।এঘটনাকে কেন্দ্র করে আ’লীগ ও যুবলীগের মধ্যে কয়েকদিন ধরেই চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে জাউয়াবাজার
এলাকায়। এঘটনার জের ধরেই যে কোনো সময় ভয়াবহ সংযর্ষের আশংকা রয়েছে। জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারী গভীর রাতে উপজেলার জাউয়াবাজারের ফুলকলির সামনে এঘটনা ঘটে। সে উপজেলার জাউয়া গ্রামের মৃত রাশিদ আলী পুত্র আশিক আল মাঝভান্ডারি (৪৫) গভীর রাতে বাড়িতে ফেরার পথে ফুলকলির সামনে হেটেঁ যাবার সময় আগে থেকে অবস্থান করা একটি প্রাইভেট কারর দ্রুতগতিতে তার উপর চাপা দেয়। সে সরে যেতে পারলে ও আশিক আল মাঝভান্ডারি ডান পা গাড়ির নিচে চাপা পড়ে গুরুত্ব আহত ও অজ্ঞান হয়। প্রত্যক্ষদশীরা জানান, গাড়ি চালক উপজেলা যুবলীগের নামধারী জনৈক আনোয়ার আলীর তার প্রাইভেট কারর নিয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের বাইরের গিয়ে ফুলকলির সামনে রাতে একা পেয়েই আশিককে গাড়ি দিয়ে
চাপা হত্যার চেষ্টা করে অবশেষে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেছে। জ্ঞানহারা বাউল কবি আশিক গুরুত আহত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভতি করলে তার অবস্থা অবনতি হবার পরে সিলেটের রাগিব- রাবেয়া মেডিক্যাল হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে হাসপাতালে ডাক্তার জানিয়েছেন তার ডান পায়ে একাধিক স্থানে ভেঙ্গে যাবার কারনে পায়ের অবস্থা খুবই খারাপ,তাকে জরুরী অপারেশনে কাজ না হলে পা কেটে ফেলা হতে পারে। আহত আশিকের ভাই কবির আহমদ জানান, এলাকবাসি এঘটনা যে বিবরন দিয়েছে তাতে আমরা নিশ্চিত আমার
ভাইকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তার চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্থ থাকার কারনে থানায় অভিযোগ দিতে দেরি হচ্ছে। এব্যাপারে আ’লীগ নেতা ও বাউল কবি ও আজর আলী স্মৃতি পরিষদ এর সভাপতি আশিক আল মাঝভান্ডারি সঙ্গে হাসপাতালে এ প্রতিনিধির দেখা হলে তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,পাইগাও গ্রামে আনোয়ার আলী আমাকে হত্যার করার পরিকল্পনা করে তার নিজ প্রাইভেট গাড়ি দিয়ে চাপা দেয় এবং রাস্তায় আমাকে ফেলে উল্লাস করে তার বাড়িতে চলে যায়। এলাকাবাসী ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক ফেইসবুকে প্রতিবাদে ঝড় উঠেছে।