রিপন মারমা কাপ্তাই
ভালোবাসা দিবসে চট্টগ্রাম থেকে ইসকনের আয়োজনে অংশ নিয়ে কাপ্তাই ভ্রমণে এসে কেপিএমের কয়লার ডিপো সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে ট্রলার ডুবে প্রাণ হারিয়েছে এক শিশু দেবলীনা দে (১০)। এখনো নিখোঁজ রয়েছে বিজয় মজুমদার (৫), টুম্পা মজুমদার (৩০)। এতে উদ্ধারে কাপ্তাই নৌবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স যৌথ অভিযান চালানোর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলিব রেজা লিমন, কাপ্তাই থানার এসআই মো. খলিল, ফায়ার সার্ভিস কর্মী সাইফুল সহ আরও অনেকে।
ওয়াগ্গা ইউপি সদস্য মাহাবুব আলম বলেন, চট্টগ্রামের নন্দনকানন এলাকার রাধামাধব মন্দির থেকে প্রায় ১২৭ জন ইসকন সদস্য কাপ্তাইয়ের শীলছড়ি এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে তীর্থ ভ্রমণে আসে। পরে তারা কর্ণফুলী নদী হয়ে ৩টি বোটে চা বাগানে যাওয়ার পথে ২টি বোট কুলে ভীড়লেও অপর ১টি বোট কুলে ভীড়ার আগেই নৌ ডুবির ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া বোটে ৪৭জন যাত্রী ছিল। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
https://www.facebook.com/ajanabangladesh/videos/608385643330894/
বিকাল পৌনে ৫টায় ঘটনাস্থল থেকেই চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানাধীন হাজারি গলীর অধিবাসী রতন দে’র মেয়ে দেবলীনা দে (১০)’র মরদেহ কাপ্তাই নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল যৌথ অভিযানে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এদিকে চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জের হরিওপুর মজুমদারপুর বাড়ীর রাজিব মজুমদারের স্ত্রী টুম্পা মজুমদার (৩০) ও তাদের শিশু পুত্র বিজয় মজুমদারের (৫) এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি বলেন, কাপ্তাই লেক অথবা কর্ণফুলী নদীতে ভ্রমণে আসা যাত্রীরা দুটি নৌকা একত্রিত করে অবাধে হৈহুল্লোড় করায় বরাবরই বাড়ছে নিহতের ঘটনা। প্রশাসন যদি এই বিষয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ঝুকিপূর্ণ বোট সমূহকে আইনের আওতায় যদি আনা হয় তবে কমে আসবে হতাহতের ঘটনা।