মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষের সমর্থক অভিজিৎ দাশ বলেন, “ছাত্রাবাসের ই ও ডব্লিউ ব্লকের পরিত্যক্ত কক্ষগুলো সংস্কার, হলে সাধারণ ছাত্রদের শারীরিক-মানসিক হেনস্তা থেকে রক্ষা করাসহ কিছু দাবি নিয়ে কয়েকদিন আগে শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলাম আমরা।
“সেই আবেদনের বিষয়ে আজ আলাপ করতে ডেকেছিলেন স্যার। স্যারের সাথে দেখা করে বের হওয়ার সময় সিঁড়িতে আমাদের গতিরোধ করা হয়। কেন তাদের না বলে আগে স্যারকে জানিয়েছি একথা বলেই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ”হামলায় তার হাত ভাঙাসহ চারজন আহত হয়েছেন বলে দাবি অভিজিতের। এই পক্ষে আহত অন্যরা হলেন- শামীম আহমদ, মুশফিকুল ইসলাম আরাফ, ফাহাদুল ইসলাম। এদের মধ্যে শামীম ও মুশফিকুল মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
পাল্টা অভিযোগ করে বর্তমান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নাছির উদ্দিন গ্রুপের সমর্থক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন ইসলাম শিমুল বলেন, “অনিয়মিত কিছু ছাত্র বরাদ্দ ছাড়াই ইদানিং ছাত্রাবাসে থাকছে। এ নিয়ে আমরা কয়েকদিন আগে প্রিন্সিপাল স্যারকে অভিযোগ দিয়েছি।
“আজ আমরা স্যারের ডাকে উনার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এসময় বাইরে থাকা আমাদের জুনিয়রদের ওপর হামলা চালানো হয়।”এতে শাহীন, অর্নিবান ও শাহরিয়ার নামের তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানান শিমুল। এদের মধ্যে শাহরিয়ার মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মো. শামীম হাসান বলেন, “দুপুরে ছাত্ররা সবাই নিজ নিজ বক্তব্য জানাতে আমার কক্ষে এসেছিল। তাদের আশ্বস্ত করেছি, বলেছি সহাবস্থান করতে। “তারপর তারা কলহে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর জরুরি ভিত্তিতে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা করেছি। সাত সদস্যের তদন্ত দল করা হয়েছে। এছাড়া আহতদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। ”অধ্যক্ষ শামীম বলেন, ছাত্রাবাসগুলোতে শিক্ষকরা গেছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন। রাতে আবার শিক্ষকরা হলগুলোতে যাবেন, যাতে শিক্ষার্থীরা অভয় পেতে পারে।