মাহমুদুল হাসান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে করোনাভাইরাস আতঙ্কে রোগীরা চিকিৎসার জন্য ভর্তি না থাকায় হাসপাতালে রোগী শূন্য রয়েছে। ফলে সরকারি এই হাসপাতালে রোগীরা যেমন ভর্তি হতে চান না অপরদিকে জ্বর সর্দি নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হতে নিরুসাহিত করা হচ্ছে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৮ মার্চ) সরেজমিনে ভূঞাপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া হাসপাতালের আউটডোর সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা চালু রাখা হয়েছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ও মহিলা ওয়ার্ড রোগী শূন্য রয়েছে। শুধুমাত্র পুরুষ ওয়ার্ডে ৪জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এছাড়া হাসপাতালে জরুরীবিভাগে প্রবেশের আগে রোগী সনাক্ত ও তথ্য কর্নার করা হয়। কিন্ত ওই ক্যাম্পে কোন লোকবল নেই।
জানা গেছে, পুরো হাসপাতাল জুড়ে চারজন রোগী ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে মারামারিতে আহত হয়ে দুইজন, আরেকজনের পায়ে ক্ষতের জন্য এবং অন্যজন শ্বাসকষ্টজনিত কারনে ভর্তি রয়েছে। এছাড়া মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড পুরোপুরি ফাঁকা রয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে করোনার কারনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আউটডোর চিকিৎসকরা রোগী দেখে চলে যান। তবে আউটডোরে রোগীর সংখ্যা কম থাকায় অলস সময় পাড় করছে চিকিৎসকরা। হাসপাতালের কর্মকর্তা (টিএইচও) প্রয়োজন ছাড়া হাসপাতালে আসছেন না।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার বাহাদিপুর গ্রামের রায়হান জানান, সকালে ছেলের জ্বর আর ঠান্ডা জনিতরোগে হাসপাতালে এসে কোন চিকিৎসক পাইনি। এরআগে আউটডোরে গিয়ে দেখি চিকিৎসক নেই। বাইরে এসে তথ্য কর্নারে গিয়েও কোন চিকিৎসক পাইনি। পরে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে তথ্য কর্নারে একজন হারবাল চিকিৎসক আসার পর তাকে বললে তিনি কল সেন্টারের নম্বর ধরিয়ে দেন।
চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল আজিজ নামের আরেকজন জানান, ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ১০টার পর হাসপাতালের আউটডোরে গিয়ে কোন চিকিৎসক পাইনি।হাসপাতালের সেবিকারা জানান, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা করোনার ভয়েই হাসপাতালে ভর্তি হতে চান না। ফলে রোগী শূন্য হাসপাতাল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, করোনাভাইরাস আতঙ্কে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে না। তথ্য কর্নার ক্যাম্প ও আউটডোর বিভাগ সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত খোলা থাকার পর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কোন তথ্য বা চিকিৎসার হাসপাতালের জরুরী বিভাগ খোলা থাকে।