নিউজ ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশ অঘোষিত লকডাউন চলছে, লকডাউনের। আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে জীবন-যাপন করছে মানুষ। সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। সরকারিভাবে গরিব, অসহায় মানুষদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সারা দেশের মতো মৌলভীবাজারেও বন্ধ হয়ে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান। যার ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। এই মানুষদের বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করতে সরকার, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এগিয়ে এলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নেই জনগণের পাশে। দরিদ্রদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের মতো কার্যক্রমে নেই অধিকাংশ এমপি। জনপ্রতিনিধিদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। করোনা দুর্যোগে জনগণের পাশে না থাকা জনপ্রতিনিধিদের একজন মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। তিনি কোথায় আছেন জানে না তার এলাকার লোকজন।
এ অবস্থায় করোনা দুর্যোগের কথা জানিয়ে ত্রাণসামগ্রী চাইলে নিজ এলাকার এক অসহায় ব্যক্তিকে তুলোধুনো করেছেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। একই সঙ্গে ত্রাণ চাওয়া ব্যক্তিকে হাওরে ডুব দিতে বলেছেন তিনি। সুলতান মনসুরের সঙ্গে ওই অসহায় ব্যক্তির কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। করোনা সংকটে ত্রাণ চেয়ে সুলতান মনসুরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা ওই ব্যক্তি মৌলভীবাজাররে কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রতাবী গ্রামের বাসিন্দা। তবে তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। সুলতান মনসুরের সঙ্গে ওই ব্যক্তির মোবাইলে কী কথোপকথন হয়েছে তা হুবহু তুলে ধরা হলো; বলা হয়েছে আমি কি তাদের বোনকে বিয়ে করবো নাকি কিসের আবার ত্রাণ।