
ছাতক প্রতিনিধি:
ছাতকে মাছ চুরি করতে গিয়ে একটি লেগুনাসহ ৮ চোরকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। বুধবার রাত ২টায় উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের জাতুয়া গ্রামের তাছিন-তানিছা এ্যগ্রো ফিশারিজে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বুধবার সকালে জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জহিরুল ইসলামের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়।স্থানীয় সুত্রে যানা যায়, ১৮ একর জমিতে জাতুয়া গ্রামে তাছিন-তানিছা এ্যগ্রো ফিশারিজ।
ঘটনার দিন রাতে পাহারাদার ফিসারির ৫নং পুকুরের পাড়ে গিয়ে দেখেন ১২/১৩ জন লোক পুকুরে থাকা বাশেঁর খুঁটি উপড়ে জ্বাল দিয়ে মাছ ধরছে। এসময় বাঁধা দিলে সংঘবন্ধ চোরেরা ভয়ভীতি প্রর্দশন করে জাল দিয়ে পুকুরে থাকা রই, কাতলা, মৃগেল, কারপু, পুটিসহ ২লক্ষ টাকা লুট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামের লোকজন এসে তাদের ধাওয়া করে সিলেট-১১-১৮২৯ নম্বারের লেগুনা, জ্বাল ও লুটকরা মাছসহ ৮ চুরকে হাতেনাতে আটক করেন। এসময় দুটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে চালক পালিয়ে যায়।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের দিঘলী ব্রাক্ষনগাঁও গ্রামের ময়না মিয়ার পুত্র খোকন মিয়া (৩৫), দিঘলী চাকল পাড়া গ্রামের আজমল হোসেনের পুত্র হোসাইন মিয়া (১৯), মৃত মনির উদ্দীনের পুত্র সুনু মিয়া (২৫), মৃত আবদুল গফুরের পুত্র হেলাল মিয়া (২৬), দিঘলী ব্রাক্ষনগাঁও গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার পুত্র লিলু মিয়া (২২), দিঘলী মাঝপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের পুত্র দেলোয়ার হোসেন (২২), দিঘলী ব্রাক্ষনগাঁও গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার পুত্র আবদুল জান্নান (২৮) ও চাকলপাড়া গ্রামের মৃত রোশন আলীর পুত্র ছলাই আহমদ (৪৫)।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় ফিসারির পরিচালক জয়নাল আবেদীন বাদি হয়ে একটি মামলা (নং-১৭) দায়ের করা করেন। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।