নিউজ ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে এমনতো অবস্থায় অনেক চিকিৎসকই রোগী দেখা ছেড়ে দিয়েছেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে যে ডাক্তার গুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন এমনই একজন ডাক্তারকে হাসপাতালে লিফটের নিচ থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।বরিশালে এক বেসরকারি হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে এক চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।চিকিৎসকের স্বজনদের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে ওই চিকিৎসক কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন চিকিৎসকের স্বজনেরা।
মৃত চিকিৎসক এম এ আজাদ স্বজল বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট দায়িত্বে ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলায়। বরিশাল নগরীর কালিবাড়ি রোডে অবস্থিত ‘মমতা স্পেশালাইড হসপিটাল’ নামের এক বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখতেন তিনি। ওই হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। এ ঘটনায় হাসপাতালের নয় কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান বরিশাল মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার মোকতার হোসেন। এসময় তিনি আরো বলেন, গতকাল সোমবার বিকালের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ডাক্তার এম এ আজাদ।
“আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে মমতা স্পেশালাইড হসপিটালের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে লিফটের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। “সুরতহালে মরদেহের পায়ে গুরুতর জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।” এটা হত্যাকাণ্ড কিনা এ ব্যাপারে তদন্ত না করে এখনই কিছু বলতে রাজি হয়নি পুলিশের এ কর্মকর্তা। তবে এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেছেন ডাক্তার এম এ আজাদের স্বজনরা। মৃতের মামা মনির হোসেন ও খালাত ভাই শিহাবউদ্দিন খোকন বলেন, ডা.আজাদের ২ সন্তান নিয়ে স্ত্রী ঢাকায় থাকেন।
এজন্য মমতা স্পেশালাইড হসপিটালের ৭ তলার এক কক্ষে একা থাকতেন তিনি। চাকরির বেতন ও রোগী দেখে মাসে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করতেন ডা. আজাদ। অর্থের লোভে পড়েই এক বা একাধিক ব্যক্তি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ তাদের। মমতা স্পেশালাইড হসপিটালের ব্যবস্থাপক ডা. জহিরুল হক মানিক বলেন, “ভোররাতে ডা. আজাদের স্ত্রী তাকে ফোন করে বলেন-‘আজাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। ফোন করেও ফোন ধরছেন না তিনি।
’ সকালে তার স্বজনরা হাসপাতালে আসেন।” পরে পুলিশের উপস্থিতিতে তার কক্ষ ভেঙে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলেও তার সন্ধান মেলেনি। এক পর্যায়ে পুরো হাসপাতালে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকজন কর্মচারী ডা. আজাদের মরদেহ লিফটের নিচে পড়ে থাকতে দেখে বলে জানিয়েছে পরে তাদের তথ্য অনুসারে ডাক্তার হাদ্বাতের লাশ লিফটের নিচ থেকে ধার করা হয়। তবে এটি দুর্ঘটনা হতে পারে বলে ধারণা জহিরুল হক মানিকের।