
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌর এলাকার মোহাম্মদ কবির হোসেনের পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখল করে একই গ্রামের ফয়সল আহমদের বিরুদ্ধে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার (২মে) ভোড়বেলায় উক্ত জমিদখল করে রাস্তা নির্মাণের ঘটনাটি ঘটে।সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, কমলগঞ্জ পৌর এলাকার উজিরপুর গ্রামের মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ব্যপারীর মালিকানাধীন কুমড়াকাপন মৌজার আর.এস ৭৯ খতিয়ানে ২২৮৪ দাগে ২২ শতাংশ ভোগদখলীয় মোহাম্মদ কবির হোসেনের পৈত্রিক জমি।
মো.কবির হোসেন বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখল করে ফয়সল আহমদ’রা তাদের সুবিধার জন্যে রাস্তা নির্মান করেছে। উক্ত সম্পত্তি আমাদের বাড়ী নির্মাণের জন্য রাখা হয়েছে। আমাদের জমির পরের অংশে থাকা তাদের জমিগুলো বর্ধিত মুল্যে প্লট আকারে বিক্রির উদ্দেশ্যে আমার থেকে কোন প্রকার বিনিময় ছাড়াই তারা রাস্তার জন্যে জায়গা চায়, কিন্তু আমাদের ৩ ভাইয়ের বাসার জন্যে জায়গার পরিমান কম হওয়াতে দিতে রাজি হইনি বলে। তাতে করে তারা গ্রামবাসীর যাতায়াতের জন্যে রাস্তার প্রয়োজন বলে মিথ্যা রটিয়ে জোরপূর্বক আমার পৈত্রিক সম্পত্তির উপরদিয়েই রাস্তা নির্মান করে। অথচ পূর্ব থেকেই গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্যে প্রশস্থ আরও ২টি রাস্তা আছে।
তিনি আরো জানান, আমরা স্থানীয় না হওয়াতে তারা প্রভাব দেখিয়ে জমি দখল করে রাস্তাটি নির্মান করে নিলেন। আমরা স্থানীয় হলে তারা এই রকম কাজ করতোনা এবং আমরা স্থানীয় মহাবাতে এখানকার লোক আমাদের পক্ষে নেই।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১জন বলেন, অনেক আগে থেকেই রাস্তার জন্যে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলে আসছে। শুনেছি করোনাভাইরাসের প্রভাবের পরে এটির সমাধান হওয়ার কথাও রয়েছে।ফয়ছল আহমেদ বলেন, আমার উপর আনা অভিযোগটি মিথ্যা। আমি এর কিছুই জানিনা।
এলাকার মাদ্রাসাগামী ছাত্ররা যাতায়াতে অসুবিধা হওয়াতে গ্রামবাসীরা একটি রাস্তা নির্মাণ করেছেন খবর পেয়েছি আমি। পৌর মেয়র জুয়েল আহমদ বলেন, এব্যাপারে পূর্ব থেকে আমাকে কেউ অবগত করেনি। এটা পৌরসভার বাহিরের ঘটনা, কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের উজিরপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে শুনেছি, এর পরও আমি কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড. এএসএম আজাদুর রহমান আজাদ’কে নিয়ে ঘঠনা স্থলে যাবো এবং বিষয়টি দেখবো সরোজমিনে গিয়ে দেখে আসব।