
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
গত (৮ই মার্চ) হাতিরপুলে নিজ কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ ছিলেন। প্রায় ২ মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি এর পর বেনাপোল সীমান্তের সাদিপুর মাঠ থেকে উদ্ধার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল শনিবার দিবাগত গভীর রাতে অবৈধভাবে ভারত থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাকে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার আশেক আলী জানান, রাতে বিজিবির টহল দলের সদস্যরা তাকে সাদিপুর সীমান্তের একটি মাঠের মধ্য দেখে পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে বিজিবি বর্ডার গার্ড। অবৈধভাবে ভারত থেকে আসার সময় তাকে আটক করা হয়েছে হয়েছে বলে জানান।
পরে তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শফিকুল কাজল নামে এক ফটোসাংবাদিককে বেনাপোল সীমান্তে দিয়ে অবৈধ পারাপারের অভিযোগে বিজিবি ১১/সি ধারায় একটি মামলা দিয়ে তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেছে। আটক সাংবাদিককে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি । শফিকুল কাজলের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী নয়নও নিশ্চিত করে বলেন,
ফোনে কাজলের সঙ্গে কথা বলেছেন। বেনাপোল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই তারা বেনাপোলের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়েছেন। ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় পক্ষকাল অফিস থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে পরদিন ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী নয়ন। পরে ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।
তবে নিখোঁজের ঠিক ৩০ দিনে (৯ এপ্রিল) ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল তার মোবাইল ফোন নম্বরটি বেনাপোলেই চালু হয়েছিল। তখন কাজল নিখোঁজের বিষয়টির তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই মুন্সী আবদুল লোকমান বলেছিলেন, নিখোঁজ সাংবাদিক কাজলের মোবাইল ফোন নম্বরটি চালু হয়েছিল। লোকেশন দেখিয়েছেন বেনাপোল। তবে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ও নম্বরটি কম সময় চালু থাকায় বেনাপোলে তখন অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। পরে তাকে গতকাল ২ মে মধ্যরাতে বেনাপোল বর্ডার থেকে আটক করে বিজিবি।