মোসলেম উদ্দিন (ইমন)
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ১৩,১৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আজ শুক্রবার (৮ মে পর্যন্ত)। নতুন করে এতে ৭০৯ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বাংলাদেশে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২০৬ জন, সুস্থ হয়েছেন ২,১০১ জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা মহানগর। ঢাকা মহানগরীতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬১৬২ জন। ঢাকা বিভাগে ১৩ টি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা এ পর্যন্ত ৬,১৬২ জন, ঢাকা বিভাগের গাজীপুর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে, ২০৩ জন, ঢাকা বিভাগের, কিশোরগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে, ৩৩০ জন, ঢাকা বিভাগের মাদারীপুর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে,
২০২ জন, ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে, ৫৪ জন। ঢাকা বিভাগের, নারায়ণগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে, ২৮ জন। ঢাকা বিভাগের মুন্সিগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে, ১,১৩৬ জন। ঢাকা বিভাগের নরসিংদী জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২১০ জন।ঢাকা বিভাগের রাজবাড়ী জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৭১ জন।ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৩ জন। ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত ২১ জন।ঢাকা বিভাগের শরীয়তপুর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩১ জন। ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৫৭ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে সংখ্যা ৫৯৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত ১৮০ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৭২ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৫০ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৫৭ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের লক্ষীপুর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৫০ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবান জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৭ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৮ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৪৩ জন। সিলেট বিভাগের ৪টি জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৩ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে। সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩০ জন। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ জন। সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৭০ জন।সিলেট বিভাগের সিলেট সিটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৮ জন। রংপুর বিভাগে ৮টি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৩ জন, রংপুর বিভাগে রংপুর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৮৯ জন। রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৪ জন। রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ জন।
রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৩ জন। রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ জন।রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৩৬ জন। রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১০ জন।রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৩ জন। খুলনা বিভাগের ১০ টিকে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২১১ জন করোনায় আক্রান্ত। খুলনা বিভাগের খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২০ জন।খুলনা বিভাগের যশোর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৭৯ জন।খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ জন। খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৩ জন।
খুলনা বিভাগের মাগুরা জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১১ জন। খুলনা বিভাগের মেহেরপুর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৫ জন।খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন।খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৪ জন। খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২০ জন। খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৩ জন। ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ জন।ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২০৪ জন। ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১০২ জন।ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬৪ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩০ জন। বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩০ জন।বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৪ জন।বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৭ জন। বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৪৮ জন। বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৮ জন। বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়নি ০ জন। বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৩ জন। রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪১ জন। রাজশাগী বিভাগের জয়পুরহাট জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৯ জন।
রাজশাহী বিভাগের পাবনা জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৬ জন। রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১২ জন। রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৮ জন। রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১২ জন।রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৪ জন।রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬ জন। রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৬ জন।
৮ মে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫ হাজার ৭০৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয় ৫ হাজার ৯৪১টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লক্ষ ১১ হাজার ৪৫৪টি। নতুন নমুনাগুলি পরীক্ষা করা হয়েছে মোট ৩৫টি ল্যাবে। গতকাল পর্যন্ত আমরা ৩৪টি বলেছিলাম। ৩৪ নম্বর ল্যাবটি ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র। আজকে আমাদের সাথে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ল্যাব। এই নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরো ৭০৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৩৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করছে আরো ৭জন। এদের ৫ জন পুরুষ, ২ জন নারী। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২০৬-এ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরো ১৯১ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ১০১ জন। গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হলেও এখন গোটা বিশ্বই করোনাভাইরাসের কবলে। মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ লক্ষ ৪৮হাজার ০৭৫। মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭১ হাজার ৭২৫ জন। তবে ১৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ২৭৮ জন রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও।প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সারাদেশে চলছে ছুটি। বন্ধ বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন। কিন্তু সম্প্রতি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী রোববার (১০ মে) থেকে শর্তসাপেক্ষে শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্তও হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৭ মে) থেকে শর্তসাপেক্ষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায়ে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে মসজিদও।