আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা সংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ বাড়িয়েছে মিয়ানমার সরকার।মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ বৃদ্ধিতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার ইউএনএইচসিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই সমঝোতা স্মারকের আরো উদ্দেশ্য ছিল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের ৩টি জনপদে বসবাসকারী সব সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য পুনরুদ্ধার এবং সহনশীলতা ভিত্তিক উন্নয়নে সহায়তা করা হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে যে, সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ ২০২১ সালের জনু পর্যন্ত বাড়ানোর ব্যাপারে গতকাল সোমবার নেপিডোতে মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় এবং ইউএনডিপি এবং ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধিরা স্ব স্ব পক্ষে নথিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউএনডিপি এবং ইউএনএইচসিআর মন্তব্য করেছে, রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ এখনও শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের পক্ষে উপযুক্ত নয়। এ অবস্থায় এই সমঝোতা স্মারক ইউএনএইচসিআর এবং ইউএনডিপিকে মংডু এবং বুথিডং শহরতলী পর্যন্ত ১২০টিরও বেশি গ্রামে কার্যকম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। ফলে ওই এলাকার মানুষের অগ্রাধিকার নিয়ে ২ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির সাথে পরামর্শ করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতির উন্নয়নে কাজ এগিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানান। ইউএনএইচসিআর জানান, ২০১৮ সালে প্রাথমিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর পানি, স্কুল ও রাস্তাঘাট উন্নয়ন,
দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ এবং আয়বর্ধক প্রকল্পের পাশাপাশি কমিউনিটি অবকাঠামো উন্নয়নসহ মোট ৭৫টি দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প (কিউআইপি) অনুমোদন দেয়া হয়। এখন কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে। ২০১৮ সালের ৬ জুন এই ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং পরবর্তীতে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।