
মোঃ বাকি বিল্লাহ্ চৌধুরী :
চট্টগ্রামের বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নৈরাজ্য, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নাই। মহামারী করোনা ভাইরাসের ভিতরে ও গ্রাহকদের কাছ থেকে পশ্চিম বাঁশখালী মোশারফ আলী মিয়ার বাজার পুর্বকুলে একটি দোকানে বসে বিদ্যুৎ অফিসের কিছু দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে বিশাল গণজমায়েত সৃষ্টি করে বিদ্যুৎ বিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
একটি ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে পল্লীবিদ্যুতের দায়িত্বশীলরা নিজেরা সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় না রেখে গ্রাহকের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল আদায় করতে দেখা গেছে।
৩ নাম্বার খানখানাবাদ ইউপি সদস্য দিদারুল আলম ফেইসবুক লাইভে এসে প্রতিবাদ জানালে পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলেন আমাদেরকে অফিস থেকে নির্দেশ দিয়েছে গ্রাহকের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল আদায় করার জন্য। এ বিষয়ে বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ডিজিএমের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কে অবহিত করলে মুঠোফোনে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে ওদেরকে কি রকম নির্দেশনা দিয়েছে কাজ করার জন্য সেটা তাদের অফিসিয়াল ব্যাপার। অন্য প্রশ্নের উত্তরে বলেন,
বর্তমান দুর্যোগপূর্ণ সময়ে গণজমায়েত করে তো কোন কাজ করা যাবে না আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম এখন পর্যন্ত আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি আমি দ্রুত তদন্ত করে গণজমায়েত রোধের ব্যবস্থা করতেছি। ৪ নম্বর বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব তাজুল ইসলাম বলেন,আমি উপজেলা থেকে আসতে ছিলাম তখন ৩ নম্বর খানখানাবাদ ইউপি সদস্য দিদারুল আলম বিষয়টি অবহিত করেন আমাকে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে গণজামায়েতের দৃশ্য চোখে পড়ে নাই পুলিশের উপস্থিতি দেখে হয়তো জনগণ চলেগেছে। আমি পল্লী বিদ্যুৎ’র ডিজিএমকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি বলেন,ঠিক আছে বিল নেওয়া বন্ধ করেছি ওদেরকে চলে আসতে বলছি।