ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে, সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা অস্বচ্ছল পরিবারকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা করে নগদ সহায়তা কার্যক্রমের তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।ওয়ার্ড সদস্য আজিজুর রহমান আজিজের উপর নগদ সহায়তার তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগে বলা হয়েছে-প্রকৃত হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত ও দুর্যোগের ফলে বিপন্ন অসচ্ছলদের রেখে ওয়ার্ড সদস্যের পছন্দের মানুষদেরকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য কর্তৃক প্রকাশিত ৭০ জনের নামের তালিকা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, তালিকার বেশির ভাগ লোকজন, যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এদের অধিকাংশই সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বয়স্ক ভাতা, ১০কেজি চাল ও আলুর তালিকায়, এবং ৩শতটাকার চালের কার্ডধারিও রয়েছেন, ভিজিএফ ও (১ম,২য় ও ৩য়) ধাপের সরকারী ত্রাণ সহায়তা ইতোমধ্যে পেয়েছেন।এই ৭০ জনের এই তালিকায় নেই গরিব অসহায়, নেই সিএনজি চালক, গ্রামের প্রকৃত গরিব ও মধ্যেবিত্ত পরিবারের নাম নেই, একই পরিবার ২টি ৪টি করে নাম, রয়ছেন বিত্তশালী ও ওয়ার্ড সদস্যের পচন্দের লোকজন।৭০ জনের তালিকায় ওয়ার্ডের শেওলাপাড়া নাম দেয়া হয়েছে ১০জনের তবে বাস্তবে তালিকায় রয়েছে অতিরিক্ত ১৫জনের নাম!
গ্রামের আব্দুল আউয়াল (৩৫) উপকারভােগীর স্ত্রী মোবাইল থাকার পরেও দেয়া হইনি মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়েছে অন্য একজনের নাম্বার।উল্লেখ্য যে সকল অস্বচ্ছল ইতোমধ্যে সরকারী বিভিন্ন সহযোগিতা পাচ্ছেন না,প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার এই অর্থ সহায়তায় তাদেরকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা উল্লেখ আছে।কিন্তু সরকারী নির্দেশনা মেনে তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি। এতে জনমনে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়েছে। মেম্বার আজিজ প্রতিবেদক কে যানার, টাইপিং ভুল হয়েছে এটা আমাদের উদ্দ্যোগক্তা ভুল করেছেন, আমি কল দিয়ে বলেছি ঠিক করার জন্য, এবং আমি মনে করেছিলাম আব্দুল আউয়ালের মোবাইল নেই এরজন্য তার গ্রামের একজনের নাম্বার আমি দিয়েছি।
ইউপি উদ্দ্যোগক্তা আব্দুল হামিদ প্রতিবেদক কে যানান, আমাকে কোন ভোটার আইডি কাড সরাসরি দেয়া হয়নি, মেম্বার নিজে তালিকা রেডি করে আমার কাছে দিয়েছেন, এখানে আমার কোন ভুল হয়নি, আর যদি ভুল হতো ২টি অথবা ৪টি হতো ১৫টি ভুল হওয়ার কথা নয়। দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃসুহেল আহমেদ কে প্রতিবেদক মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।