আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ঘূর্ণিঝড় আপনের তাণ্ডবলীলা থেকে রক্ষা পায়নি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যস্ততম এয়ারপোর্ট কলকাতায়, সুপার সাইক্লোন আম্ফানের তাণ্ডবলীলায় বিপর্যস্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। সেখানে যেন প্রলয়লীলা চালিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এর কবলে পড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে ভারতের অন্যতম ব্যস্ত কলকাতা বিমানবন্দরও। ভেঙে পড়েছে বিমান রাখার হ্যাঙ্গারও। পানিতে ভেসে গেছে গোটা রানওয়ে। চারদিকে থৈ থৈ করছে পানি আর পানি। গতকাল বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যায় আম্ফানে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হেনে রাতভর তছনছ করে গোটা রাজ্য।
রাতের বেলায় কলকাতা বিমানবন্দরের অবস্থা জানা না গেলেও সকাল হতেই দেখা যায় প্রলয়লীলা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানা যায় ল, টানা কয়েক ঘণ্টার প্রবল বর্ষণে পানিতে ভেসে গেছে বিমানবন্দরের রানওয়ে এবং হ্যাঙ্গার। প্রবল ঝড়ে ভেঙে গেছে টার্মিনালের বহু কাচও। গোটা বিমানবন্দরের দশা এখন আধডোবা। ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দরের একাংশের ছাদও। বিমানবন্দরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দু’টি হ্যাঙ্গারের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। সে দুটি হ্যাঙ্গার মেরামত অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া অফিস থেকে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটের সময় কলকাতা বিমানবন্দর এলাকায় প্রতি ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। সেই সঙ্গে টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে প্রবল বৃষ্টি। তার জেরেই বিমানবন্দরের এই দশা হয়ে পড়ে। অবশ্য ঝড়ের আভাস পেয়ে আগে থেকেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। এখন বিমানবন্দরের রানওয়ে যেহেতু পানিতে থৈ থৈ করছে,
ফলে এর কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে সময় লেগে যাবে বলেও জানান বিমান কর্তৃপক্ষ। তবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো পরিমাপ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে ভারতের কলকাতা বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা আপাতত ব্যাহত হলেও আগামী সোমবার (২৫ মে) থেকে ভারতে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৪ মার্চ রাত ১২টার পর দেশজুড়ে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিলদেশটিতে। কেবল দেশের মধ্যে এবং কিছু আন্তর্জাতিক রুটে পণ্যবাহী বিমান চালু রেখেছে ভারতের বিমান কর্তৃপক্ষ।