প্রয়াত সংগীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকা কয়েক দশক আগে গেয়েছিলেন, মানুষ মানুষের জন্যে জীবন জীবনের জন্যে একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না! ও বন্ধু….মানুষ মানুষের জন্যে মানুষ, জীবনের জন্যে জীবন। এই বিশ্বাসকে ধারণ করে বর্তমান বিশ্বের এক মহামারী করোনা তাণ্ডবে যখন লণ্ডভণ্ড পুরো পৃথিবী, ঠিক তখনি সমাজের অবহেলিতদের দুঃখ লাঘব করতে সমাজের বিত্তশালী ও বিভিন্ন সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। আনোয়ারা উপজেলায় ইতোমধ্যে গরীবদের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য এম. এ. রশিদ। উপজেলার ১ নং ও ২ নং ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজার দুস্থ পরিবারের মাঝে ইতোমধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
এছাড়া তিনি উক্ত এলাকার বেশ কয়েকটি মসজিদ-মাদ্রাসায় লিকুইড, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান দিয়ে মুসল্লীদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও তিনি উপজেলার যে কারোরই স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনে তার ব্যক্তিগত বেশ কয়েকটি গাড়ি(কার, নোহা ও সিনএনজি) নিরবচ্ছিন্ন রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকে তিনি উপজেলার বিভিন্ন গরীব, দুঃখী ও মেহনতী মানুষের পাশে দাঁড়ান। প্রতিনিয়ত তিনি ১ ও ২ নং ইউনিয়নের অসহায় পরিবাতের মাঝে ড্যুর টু ড্যুর খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন। প্রদত্ত সামগ্রীর মধ্যে থাকে- চাল, আলু, মসুর ডাল, আটা, পেঁয়াজ, আলু, সাবান, তেল ইত্যাদি পণ্যসামগ্রী।
এছাড়া তার উদ্যোগে প্রতিনিয়ত এলাকার মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও গ্ল্যাভস বিতরণের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করেন তিনি।এম. এ. রশিদ বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে কর্মহীন অবস্থায় রয়েছে অসংখ্য দিনমজুর, শ্রমিকসহ বিভিন্ন নিম্ন আয়ের মানুষ। এই কর্মহীন মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছি আমি। মহামারী করোনা আজ সারা বিশ্বকে থমকে দিয়েছে। আল্লাহ না চাইলে এ থেকে পরিত্রাণের সুযোগ নেই। এই অবস্থায় অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশও বিরাট হুমকির মুখে পড়েছে। এ দেশের খেটে-খাওয়া মানুষ এখন বড্ড অসহায় জীবনযাপন করছে। পুরো দেশে আজ সরকারি বা বেসরকারি অনেক সংগঠন এদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় আমি উপজেলার ১ নং ও ২ নং ইউনিয়নের নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। যারা দিনে এনে দিনে খায়, তারা এখন দিনে আনতেও পারছেনা, খেতেও পারছেনা। তাই, আমার সাধ্যমতো তাদের দুঃখ লাঘব করার চেষ্টা করছি। আমার মতো এলাকার বিত্তবান ও দলীয় নেতাদের এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে আমি মনে করি। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে আমার এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’ তিনি আরো জানান, চলমান এই পরিস্থিতিতে তার নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৫০ জন যুবক সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। যাদের সবার উদ্দেশ্য হলো মানবতার সেবা করা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগ নেতা জাহেদ হোসেন ফারুকী,
আখতারুজ্জামান চৌধুরী স্মৃতি সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, রনি, সোহেল আদনান, আরমান, মোহাম্মদ শাহেদ, মুরাদ আলম, মোহাম্মদ জাবের, মোহাম্মদ কামাল, মোহাম্মদ করিম, মোরশেদ, মোহাম্মদ মুরাদ, প্রান্ত দত্ত আপন, জুয়েল, আরমান, আবু নাঈম, মো. শাহেদ, আবু সালেহ মো. রাশেদ, ইদ্রিস আজম বাদশাহ, নূরে আলম, মুরাদ, জাবেদ, করিম, হাকিম, খোকন, মাসুদ, শিহাব, আব্দুল্লাহ আল মারুফ, আবু তাহের, মাজেদ, এইচ এম রিসাদ, আবু ওবাইদ, মো. রহাদ, মো. মাজেদ, আবু সাঈদ, মো. সাজ্জাদ প্রমুখ।