মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার চা বাগান সমুহে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ম্যানেজ করে চলছে নিন্মমানের চোলাই মদের রমরমা ব্যবসা। নিন্মমানের মাদক সেবনের কারনে স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি তরুন সমাজ হচ্ছে বিপথগামী।জানাযায়, কমলগঞ্জ উপজেলার ১৪টি চা বাগান রয়েছে। এসব বাগান সমুহের প্রতিটিতেই রয়েছে বৈধ মাদকের পাট্রা। মাদক সহজ লভ্য হওয়ার কারনে বাগানের শ্রমিক সহ উঠতি বয়সের যুবকরা মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে এক শ্রেণীর অসাধু সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীরা নিন্ম মানের চোলাই মদ, হাঁড়িয়া মদ তৈরী করছে। সব ছেয়ে বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে পাত্রখোলা, মাধবপুর, আলীনগর, মদনমোহনপুর, চাতলাপুর, শমসেরনগর, কানিহাটি, দেওড়াচড়া চা-বাগান সমুহে।এদের মধ্যে পাত্রখোলা চা বাগানের বাজার লাইনের লামিয়া অলমিক, লেলামা অলমিক, ববই মান্দ্রাজি, সোনা অলমিক, পটক লাল এর বাড়ীতে উঠেছে এসব চোলাই মদ ও হাড়িয়া তৈরীর কারখানা।
এসব মাদক সেবন করে অনেক সময় সেবীরা মাতাল অবস্থায় বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়া রাস্তার যেখানে-সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই সব সেবনকারীদের মধ্যে চা শ্রমিক ছাড়া ও বস্তি এলাকার উঠতি যুবকরা ও এতে ঝুঁকে পড়ছে। ফলে চা বাগানের শ্রমিক পরিবার সহ সেবীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে ।এ ব্যাপারে বাগানের চা শ্রমিক ও সচেতন নাগগরিকরা স্থানীয় প্রশাসন ও বাগান কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।