রিপন মারমা রাঙ্গামাটি কাপ্তাই
রাঙ্গামাটি কাউখালী উপজেলা সদরের ইউএনও অফিস থেকে কয়েকশো গজ অদূরে প্রকাশ্য দিবালোকে স্কুল নির্মানের নামে অবৈধ ভাবে সেগুন ,গামারি ,মেহগণিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৩”শতাধিক গাছসহ উচু পাহাড় কেঁটে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে প্রভাবশালীর সিন্ডিকেট চক্র।ভেঙ্গে ফেলা পুরাতন বিশাল বিদ্যালয়টি ছিল সেমি পাকা ও উপড়ে টিন সেট।বিদ্যালয়টি সাথে ছিল দামি ২টি পাকা ওয়াশ রুম সেগুলোও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।পাহাড় কাঁটা মাটি নেওয়ার জন্য ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী ওয়াল।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা গেছে ,উপজেলা সদরে পোয়াপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪৮ সালে স্থাপিত হয়। এই বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মানের লক্ষ্যে প্রাথমিকও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দকৃত প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ব্যায়ের টেন্ডার করেছে উপজেলা এলজিইডি কতৃপক্ষ।এই কাজ বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে হরিলুটের নেমেছে বিদ্যালয় ঠিকাদারসহ প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি।এই সিন্ডিকেট চক্রের কাছে স্থানীয় প্রশাসনও অনেকটা অসহায় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে স্থানীয় ইউএনও এবং জেলা প্রশাসকের প্রদত্ত নির্দেশনা অমান্য করে প্রকাশ্য দিবালোকে এই ধরনের কর্মকান্ড চলে আসলেও ক্ষমতাসীন দলের হয়রানির ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করছেনা।প্রভাবশালী এক নেতার ছেলের নেতৃত্বে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ জনপ্রতিনিধিরা মিলে সিন্ডিকেট করে সরকারী সম্পদ লুন্ঠন করে চলেছে একের পর এক।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান,কয়েক শতাধিক গাছ বিক্রি করেই ক্ষান্ত হয়নি প্রভাবশালী চক্রটি।
তারা বিদ্যালয় ভবন নির্মানের নামে উচু পাহাড় কেটে মাটি গুলো জনৈক ব্যাক্তির নিকটে বিক্রি করে দিচ্ছে।খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতার ভাতিজী জামাই বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ।ম্যানেজিং কমিট ‘র সভাপতি স্ত্রী বিদ্যালয়টি সহকারি শিক্ষিকা।এছারা কমলপতি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যজ্যই মারমা স্ত্রী মিনু মারমাও এই বিদ্যালয়ের সরকারি শিক্ষক ।ঐ চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি হিসেবে কোনো নির্বাচন ছাড়াই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
জানা যায় এদের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রনের চলছে লুটপাঠ মহোৎসব।পাহাড় কেঁটে স্কুলের দেওয়াল ভেঙ্গে যাওয়া পুরাতন ভবণের মালামাল বিক্রি ও স্কুলের পুরাতন গাছ কেঁটে নিয়ে যাওয়া এসব ব্যাপারে সুস্পষ্ট,উত্তর নাদিয়ে পোয়া পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উসিচিং মারমা প্রতিবেদককে বলেন,বিদ্যালয় বন্ধ যার কারনে আমি কিছু জানতে পারিনি।পরিচালনা কমিটি সভাপতি কনিষ্ট বড়-য়া জানান,গাছ কে বা কাহারা কেঁটেছে তা আমি জানিনা ।আর স্কুলের স্বার্থের সামান্য মাটি কাঁটা হচ্ছে তাও ইউএন কাউখালীর মাধ্যমে ডিসি থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন তার কমিটি মেয়াদকাল মাত্র এক বছর ।এর আগে কমিটি লোকেরা বিদ্যালয়ের গাছগুরো বিক্রি করেছে ।
কাউখালী উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র রায় জানিয়েছেন ,কাজটি পেয়েছে রতন এন্টারপ্রাইজ।তবে কাজ তবে কাজ করেছেন সম্ভবত জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরী ছেলে অভিমং চৌধুরী ও আজিজ করেছে।সেখানে কিছু মাটি সমান করার কথা কিন্তু এভাবে মাটির কাঁটা কথা ছিলনা।এক প্রশ্ন জবাবে তিনি বলেন ,টেন্ডারে পাহাড় কাঁটা কথা নাই উল্লেখ নাই এবং এ পর্যন্ত পাহার কাঁটা হচ্ছে এমনটি আমিও ভাল করে জানিনি।উপজেলা সদরে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কাউখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শতরুপা তালুকদার এর দৃষ্টির আকর্ষন করা হলে তিনি প্রতিবেদককে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলের গিয়ে মাটি কাঁটা বিষয়টি সত্যতা পান ।
এসময় মুঠোফোনে তিনি কোন একজনের সাথে কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করাকালে প্রতিবেদকের প্রশ্ন জবাবে বলেন,আমি আপাতত কাজটি বন্ধ করতে নিষেদ করেছি তবে মিডিয়া সামনে কথা বলতে পারবোনা ।মাটি কাঁটা বিষয়ের জেলা প্রশাসকের অনুমতি আছে বলেও জানান তিনি।এদিকে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ এ ব্যাপারে বলেন,পাহাড় কাঁটা বিষয়ের আমি কিছু জানিনা ।বিষয়টি খোঁজ নিয়ের সাথে সাথেই কাজটি বন্ধ করা নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।