বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ
বাঁশখালীর চাঞ্চল্যকর হাফেজ এরফান হত্যা মামলার ৫২ জন আসামীদের মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও হত্যাকান্ডের মূল হোতা অর্ধশতাধিক মামলার আসামি মোহাম্মদ কালু (৫২) ওরপে কালু ডাকাত এবং ৫নং আসামি তার ছেলে মোঃ সাহাব উদ্দিন সহ তার সহযোগী ৪৬ জন আসামীদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।প্রকাশ্যে হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণকারী ঘাতকেরা উল্টো নিহত হাফেজ এরফানুল হকের পরিবারকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে নিহত হাফেজ এরফানুল হকের পরিবার।মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সাত আট বছর পূর্বের জায়গাজমি নিয়ে নিহতের পরিবারের সাথে বিভিন্ন সময় দ্বন্ধ ছিল। গত পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল আনুমানিক তিন ঘটিকার সময় নিহত হাফেজ এরফান নানা নানী-র কবর জেয়ারতের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে আসামীগনের বাড়ির নিকটস্থ রাস্তা দিয়ে কবরস্থানে যাওয়ার পথে আসামীগন পূর্বের শত্রুতার বশবর্তী হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হাফেজ এরফানুল হকের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বুধা গাজীর দিঘির মধ্যে ফেলে দেয়। নিহতের চিৎকার শুনে তার ভাই সহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরও ধারালো অস্ত্র ধারা কুপিয়ে আহত করে। মারাত্মক জখম অবস্থায় এখনো অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।উক্ত মামলার বাদী নিহত হাফেজ এরফানুল হকের ভাই এমরানুল হোক বলেন আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরেবেড়ালেও পুলিশ অজ্ঞাত কারনে গ্রেপ্তার করছেনা; তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন।নিহত হাফেজ এরফানুল হকের স্ত্রী বলেন, আমার একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে তাদের বাবাকে হারিয়ে এতিম হয়েছে।
আমি অবেলায় বিধবা হয়েছি। বাংলাদেশের আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে, আমার স্বামী হত্যায় জড়িত কালু ডাকাত সহ তার সহযোগীরা কেউ রেহাই পাবে না।অন্যদিকে এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন সচেতন এলাকাবাসী। তারা অতিদ্রুত কালু ডাকাত সহ অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছে যাতে কেউ আগামীতে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়।বাঁশখালী থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান – ঘটনাস্থল থেকে ৬ জন কে গ্রেপ্তার করেছি। কালু ডাকাত সহ বাকি আসামীদের ধরতে নিয়মিত পুলিশি অভিযান চলছে।