সকল দল নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চট্রগ্রাম
উওর জেলার নেতারা সকল দলের অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচন না হলে দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হবে
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার নব-গঠিত কার্যকরি পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান ১৭ অক্টোবর বুধবার বিকাল
৩ টায় নগরীর মুরাদপুরস্থ আপন গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ওবাইদুল মোস্তফা কদমরসুলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সচিব মাওলানা কাজী মুহাম্মদ সোলায়মান চৌধুরী। উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সচিব অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ তৈয়ব আলী। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সচিব অধ্যাপক মাওলানা জালাল উদ্দীন আযহারী। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ইসলামী ফ্রন্টের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ এনামুল হক ছিদ্দিকী ও অর্থ সম্পাদক এইচ এম মঞ্জরুল আনোয়ার চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন হোসাইন হায়দরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অভিষেক অনুষ্ঠান প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সহ-অর্থ সচিব সৈয়দ মুহাম্মদ হোসাইন, নির্বাহী সদস্য হাফেজ মুহাম্মদ রুহুল আমিন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ফটিকছড়ি উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল আলম ছিদ্দিকী, দক্ষিণ জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আজিজুর রহমান আজিজ।
প্রধান অতিথি কাজী সোলায়মান চৌধুরী বলেন, দেশে এখনো অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও পক্ষপাতমুক্ত নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। সকল দল সমানভাবে নির্বিঘেœ বাধামুক্ত হয়ে নির্বাচনী প্রচারনার সুযোগ পাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন সরকারের লেজুড়বৃত্তি করছে। করছে সরকারি এজেন্ডা বাস্তবায়ন। ভারতের চেয়ে ১১ গুণ বেশি দামে ইভিএম মেশিন কিনেছে নির্বাচন কমিশন। দুর্নীতিগ্রস্থ দুর্বল নির্বাচন কমিশন কীভাবে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করছে তা নিয়ে দেশবাসী সন্দিহান। তিনি বলেন, সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন না হলে দেশে আবারও অরাজকতা-অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হবে। বিপন্ন হবে গণতন্ত্র ও নাগরিক শান্তি।
উদ্বোধক অধ্যক্ষ তৈয়ব আলী বলেন, এরশাদ-মান্নান-মতিন নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট আগামী নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে। সুন্নি উলমা-ছাত্র-জনতার এই জাতীয় জোট আগামী দিনে ক্ষমতার অংশীদার হয়ে দেশের আম জনতার ভাগ্য বদলে দিবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ওবাইদুল মোস্তফা কদমরসুলী বলেন, দুই বড় দলের রেষারেষির রাজনীতি দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। ইসলামী ফ্রন্টের আদর্শিক রাজনীতির উত্থান ঘটিয়ে দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে।
বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহিম মুনিরী, মাওলানা আব্দুল খালেক আলকাদেরী, মাওলানা কাজী মুহাম্মদ তৌহিদুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ আলী শাহ্ নেছারী, মুহাম্মদ শাকুর মিয়া, মুহাম্মদ মঈনুল আলম চৌধুরী, সৈয়দ মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রেজভি, মুহাম্মদ কামাল পাশা চৌধুরী, মাওলানা মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন আলকাদেরী, মুহাম্মদ খোরশেদ আলম, সৈয়দ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন আলকাদেরী, হাজী মুহাম্মদ মোবারক হোসেন, আ স ম রফিকুল ইসলাম রেজভি, মুহাম্মদ হারুন সওদাগর, মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াছ নুরী, সৈয়দ মুহাম্মদ আবু সাঈদ, মুহাম্মদ আকতার হোসেন, মুহাম্মদ ফরিদুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান, মাওলানা মুহাম্মদ সোহাইল উদ্দীন আনসারী, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি মাস্টার মুহাম্মদ ইসমাইল, সাধারণ সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান, উত্তর জেলা ছাত্রসেনার সভাপতি মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আজাদ রানা, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ আলী আকবর প্রমুখ।