নিউজ ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আসন্ন পবিত্র কোরবানি উপলক্ষে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন চালু করেছে অনলাইন ক্যাটল মার্কেট, কক্সবাজার নামে এক ডিজিটাল প্ল্যাটফরম। হাটে না গিয়ে ঘরে বসেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যাতে কোরবানির পশু কিনতে পারেন সে লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন চালু করেছে অনলাইন ক্যাটল মার্কেট। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এ সময়ে জেলা প্রশাসনের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সচেতন মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন এ বিষয়ে জানান- ঈদ-উল-আযহা মুসলমানদের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। এ ঈদে সামর্থবান ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ তাদের সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় কক্সবাজারেও বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী-অস্থায়ী বাজারে কোরবানির পশু কেনা বেচা হয়। তিনি বলেন, এ হাটগুলোতে প্রচুর জনসমাগম হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এসব হাট যথাসম্ভব পরিহার করার জন্য বিশেষজ্ঞগণ পরামর্শ দিচ্ছেন। এ পরামর্শ অনুযায়ী যারা কোরবানির হাটের ভীড় পরিহার করতে চান তাদের জন্য জেলা প্রশাসন অনলাইনে পশু কেনার সুযোগ করে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি সকলকে অনলাইন মার্কেট থেকে তাদের পছন্দমত কোরবানির পশু কেনারও আহবান জানান। ফেইসবুকে জেলা প্রশাসনের অনলাইন ক্যাটল মার্কেটের পেইজে গিয়ে দেখা যায় গত পহেলা জুলাই চালু হওয়া এই অনলাইন হাটে ইতোমধ্যে শতাধিক গরু পাওয়া যাচ্ছে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই হাটে কয়েক হাজার কোরবানির পশু পাওয়া যাবে। জেলার ৮টি উপজেলার পশুগুলো আলাদাভাবে বয়স, প্রাপ্তিস্থান, মালিকের নাম ও যোগাযোগের নম্বর দেয়া আছে।
ক্রেতারা তাদের পছন্দের পশুর মালিকের সাথে সরাসরি দরদাম করে পশু কিনতে পারবেন। এখানে কোন মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালের সম্পৃক্ততা নেই। কয়েকজন মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা অনলাইন মাধ্যমে গরু ক্রয়ের সুযোগ পেয়ে খুশি।অনলাইন পশুর হাট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে শিক্ষক মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, কোরবানির হাটে যাওয়া একটা আনন্দের ব্যাপার এটি সত্য কিন্তু এ বছর একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজেকে ও পরিবারের আপনজনের নিরাপত্তার স্বার্থে ভীড় এড়িয়ে ধর্মীয় কর্তব্য পালন করাটাই বাঞ্ছনীয়। কাজেই জেলা প্রশাসন কর্তৃক চালু করা অনলাইন হাট হতে পছন্দমতো কোরবানির পশু কিনতে পারলে তা-ই করা উচিৎ।