মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কটারকোনা এলাকায় রাতের অন্ধকারে প্রভাবশালী মহল কর্তৃক এক নিরীহ লোকের খরিদা ভূমি দখল করে বেড়া দিয়ে কলাগাছ লাগিয়ে দিয়েছেন। গত ২৯ জুন সোমবার দিবাগত রাতে কুলাউড়া উপজেলার কটারকোনায় ছমর উদ্দীনের মনু নদী সংলগ্ন খরিদা ভূমিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অসহায় ভূমি মালিক কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কটারকোনা এলাকার মনু নদীর তীরঘেষা ছমর উদ্দীনের খরিদকৃত ৬০ শতক ভূমি দখল করে বাঁশের বেড়া দিয়ে কলাগাছ রোপন করেছেন একই এলাকার সমুজ আলী, আবু মিয়া, চান্দ আলী প্রমুখ ব্যক্তিরা।
রাতের আঁধারে প্রতিপক্ষের প্রভাবশালীরা ওই ভূমি দখলে নেন। তবে ছমর উদ্দীন নিজের ক্রয়কৃত ভূমি রক্ষায় তাদের আপত্তি জানিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ উদ্দীন বিষয়টি নিয়ে দখলকার ব্যক্তিদের কাগজপত্র নিয়ে আসার অনুরোধ করলেও তারা আসেনি। এরপর ছমর উদ্দীন তার খরিদা ভূমি দখল বিষয়ে গত ৩০ জুন কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ করে ছমর উদ্দীন বলেন, দীর্ঘসময়কাল ধরে আমার খরিদকৃত ভূমিতে ভোগ দখলকার হিসাবে আছি। এলাকার প্রভাবশালী সমুজ মিয়া গং ব্যক্তিরা আকস্মিকভাবে রাতের আঁধারে আমার ভূমি জোরপূর্বক দখল করে কলাগাছ রোপন করেছে।
বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়ভাবে বিচার প্রার্থী হই। পরে থানায়ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এব্যাপারে হাজীপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ উদ্দীন বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে দখলকারীদের আপত্তি জানাই এবং কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করি। তারা প্রথমে কাজ বন্ধ করলেও পরে ভূমি দখল করে নেয়। আমার কাছে আর আসেনি। ছোট বেলা থেকেই এই ভূমি ছমর উদ্দীনের ভোগদখল ছিল বলে তিনি জানান।
অভিযোগ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য সমুজ আলী বলেন, আমি বিগত দুই বছর ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে শয্যাশায়ী অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছি। এ ঘটনার সাথে আমি মোটেও সম্পৃক্ত নয়। ভূমি দখলের বিষয়েও কিছুই জানিনা। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ একটি প্রভাবশালী মহল আমাকে মামলার আসামী করা হয়েছে।
হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, দখলের অভিযোগ পেয়ে আমি ইউপি সদস্যকে সরেজমিনে পাঠিয়েছি। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই কানাই লাল চক্রবর্তী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটি সরকারী জমি এবং বালু মহাল। তবে দখল বিষয়ে সামাজিকভাবে সমাধানের প্রক্রিয়া চলছে।