ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ছাতকে প্রতিপক্ষের লোকজন কতর্ৃক হামলা, লুটপাট, শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দশ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের কামারগাঁও পীরবাড়ি গ্রামের মৃত উকিল আলীর পুত্র রুবেল আহমদ শাহ বখত বাদী হয়ে ৫ জুলাই এ মামলা নং-৮, দায়ের করেন। মামলায় একই গ্রামের আবাছ আলীর পুত্র তৌরিছ আলী, তাজ উদ্দিনের পুত্র লালু মিয়া ও ইসলাম উদ্দিন, মৃত বাহরাম আলীর পুত্র ফটিক মিয়া, মৃত আছদ্দর আলীর পুত্র শইরত, শইরত আলীর পুত্র রুহুল আমীন, ছুরত আলীর পুত্র রাহিম, ফটিক মিয়ার পুত্র জুয়েল মিয়া, আবাছ আলীর কন্যা রাছনা বেগম, শইরত আলীর পুত্র বদরুলকে আসামী করা হয়।
জানা যায়, গত ২ জুলাই দুপুরে গ্রামের তাজ উদ্দিনের পুত্র লালু মিয়া ও শইরত আলীর পুত্র রুহুল আমীন বাদি রুবেল আহম শাহ বখত এর বন্যায় প্লাবিত বাড়ির পুকুর পার দিয়ে নৌকা নিয়ে যাবার সময় পুকুর ঘাটে থাকা মহিলাদের উদ্দেশ্য করে অশ্লীল কথা বার্তা বলতে থাকে। এসময় শাহ বখত তাদের অশালিন আচরণের প্রতিবাদ করলে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রুহুল ও লালুর পক্ষ নিয়ে সংঘবদ্ধরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শাহ বখত এর উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। হামলাকারীদের হাত থেকে তাকে বাঁচাতে মা তাহমিনা বেগম,
স্ত্রী তাসলিমা বেগম, শিশু কন্যা ফাহমিদা বেগম, বোন শারমিন বেগম ও রাহেনা বেগম, ফুফু নার্গিস বেগমসহ পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারপিট করে আহত করে। ভয়ে নারীরা বসতঘরে আশ্রয় নিতে গেলে ধাওয়া করে হামলাকারীরা তাদের টানা হেঁছড়া করে প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় শ্লীলতাহানি ঘটিয়ে তিন ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, একটি মোবাইল সেটসহ দু’লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সোহেল রানা বলেন, মামলাটি তদন্তাধিন আছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।