আপনাদের পছন্দ ফার্মের বা ব্রয়লার মুরগীর কমবেশি আমাদের চাহিদা বাড়ছে দিনদিন। কিন্তু আপনি কি জানেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ব্রয়লার মুরগীতে এবং দানা বাঁধে ক্যান্সার শরীরে। আর সেই সঙ্গে আরো ভয়ানক ব্যাপার হলো যে, পোলট্রির মুরগি খেলে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের শরীরে আর কাজ করবে না। তথ্য উঠে এসেছে একাধিক গবেষণায় এসব।
মুরগির বাচ্চা মাত্র চার সপ্তাহেই বা এক মাসে হয়ে যায় এটাই দেখা যায়! মাত্র এক কেজি আটশো গ্রাম ম্যাশ খাওয়ালেই এক কেজির নেট মাংস! দুই কেজি ওজনের মুরগি জবাইয়ের আগে ম্যাশ খাচ্ছে মাত্র তিন কেজি ছয়শো গ্রাম! রহস্যটা কী? ম্যাশের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম। পুশ করে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন। হুহ হুহ করে বাড়ছে ওজন। চড় পড় করে বড় হচ্ছে মুরগি।
এর পিছনে রয়েছে কী ভয়ঙ্কর বিপদ কিন্তু সেটা কি আমরা জানি? না জানি জানার চেষ্টাও করিনি কোন দিন সাম্প্রতিক এক গবেষণায় পাওয়া যায় পোলট্রির ফার্মে মুরগি খেলে আমাদের শরীরে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না।
একটু একটু নষ্ট হয়ে যাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই। ছোট খাটো পেটের রোগ, গ্যাস, অম্বল, সর্দিকাশি, ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না। ফলে রোগ সারাতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্য নিতে হবে ডাক্তারদের। আমাদের শরীরে যে অ্যান্টিবায়োটিকের একাধিক প্রভাব পড়বে। পলে আমাদের রোগ বেরে যায়
এমনকি অতিরিক্ত ফর্মের মুরগি খেয়ে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তা আমরা বুঝতে পারি না
ফুড পয়জনিং হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় ব্রয়লার চিকেন খেয়ে একাধিক গবেষণয়া দেখা গেছে প্রায় ৬৭+৭০ এবং শতাংশ ব্রয়লার মুরগির শরীরে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া থাকে যা কোনও ভাবেই কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়। বাজার থেকে ব্রয়লার মুরগির মাংস কিনে কখনই অন্য খাবার বা সবজির সঙ্গে সেটি রাখবেন না। শুধু তাই নয়, যে ছুরি দিয়ে মাংসটা কাটবেন তা দিয়ে ওই সময় সবজি কাটবেন না। আর যে প্লেটে কাঁচা মাংসটা রাখবেন তা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তবেই অন্য কাজে লাগাবেন। যেমনটা আগেও বলেছি কাঁচা মাংসে অনেক সময়ই ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই নিয়মটা মানলে সেই জীবাণু বাকি খাবারে ছড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমে যায়।
কাঁচা মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণের ব্যাকটেরিয়াও জীবাণু থাকে। আর দোকানে যেভাবে একাধিক মুরগিকে এক সঙ্গে রাখা হয় তাতে দু-পাঁচটার শরীরে সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলি প্রবেশ করে না যাওয়াটা কোনও অস্বাভাবিক নয়। আর এমনটা যে হয় না সে কথা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে কি? শুধু তাই নয়, যখন মুরগি কাটা হয় তখনও জীবিত মুরগির শরীর থেকে কাঁচা মাংসে ব্যাকটেরিয়া চলে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আর এই জীবাণু যদি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে আর রক্ষা নেই। তাই সব দান
আর হে দেশি মুরগিতে এমন কিছু ক্ষতিকারক জিনিস পাওয়া যায়নি। কারণ দেশি মুরগির একেবারে প্রকৃতির নিয়ম মেনে বড়হয়। ফলে ব্রয়লার মুরগির মতো তাদের শরীরে কোনও কেমিকেলের উপস্থিতি যেমন পরিলক্ষিত হয় না। তেমনি দেশি মুরগি অনেকাংশেই ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হয়। ফলে তা থেকে আমাদের শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
এক গবেষণায় জানা যায়, প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া কমে যাওয়ায় একটি গুরুতর হুমকির মুখ মুখি হতে যাচ্ছে মানবসভ্যতার যা বছরে ৭ লক্ষ এর কাছা কাছি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সহ আমেরিকার ২৩০০০ ইউরোপে ২৫০০০, ৬৩০০০ ভারতের শিশু। এদের মৃত্যুর পর আরও লক্ষাধিক অসুস্থ হয়ে পড়বে। তখন বাৎসরিক ২০ লক্ষ আমেরিকান অসুস্থ হয়ে স্বাস্থ্যসেবায় কোটি কোটি টাকা খরচ করবে। গার্ডিয়ানের ওই রিপোর্টে আরো পূর্বাভাস দেওয়া হয় যে ২০৫০ সালের মধ্যে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধে বিশ্বে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে এবং বছরে ১ কোটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে। শেষ হবে সম্পদ আর দেশ হারাবে জাতীয় উৎপাদনশীলতা। দেশ হারাবে সম্পদ