মুফতি জিহাদীর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে মহানগর ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনার বিক্ষোভ সমাবেশ মুফতি জিহাদীকে দ্রুত মুক্তি দেয়া না হলে হরতাল-অবরোধ কঠোর কর্মসূচি -অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব জননেতা অধ্যক্ষ আল্লামা স.উ.ম আবদুস সামাদ হেফাজতি জঙ্গিদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত মুফতি আলা উদ্দিন জিহাদির নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেছেন, পাবর্ত্য চট্টগ্রামে শান্তিবাহিনী যেমন অশান্তি সৃষ্টি করছে,
তেমনি কওমীরা হেফাজতে ইসলাম নামধারণ করে ইসলামকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। ১৯৭১ সালে রাজাকার-আলবদরের পাশাপাশি কওমীরা মুজাহিদ বাহিনী গঠন করে রাষ্ট্রদোহী অপরাধ করছিল। বর্তমানে তারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ২০১৩ সালে ঢাকা শাপলা চত্বরে তা-ব সৃষ্টি করেছিল, বি-বাড়ীয়ার নাসিরনগরে খাঁটি আহলে সুন্নাতের ব্যানার লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস করেছিল। বর্তমানে জামাত-হেফাজতের দহরম মহরম সম্পর্ক ও হেফাজতের অন্ত:কোন্দাল চাপা দিতে নিরীহ সুন্নী আলেম মুফতি আলাউদ্দীন জিহাদীকে মিথ্যামামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সরকারের কওমীপন্থি নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ও প্রশাসনের কিছু বিপদগামী সদস্যের যোগসাজসে এ মিথ্যা মামলা সৃজন করেছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মুফতি জিহাদীকে দ্রুত মুক্তি না দিলে হরতাল-অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সুন্নীজনতা রাজপথে থাকবে। কওমী-হেফাজতের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আহলে সুন্নাত নেতা মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদীর নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনা বৃহত্তর চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জননেতা নাঈমুল ইসলামের সভাপতিত্বে যুবনেতা হাবিবুল মোস্তফা সিদ্দিকী ও যুবনেতা এনামুল হকের স ালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- ড. ছৈয়দ জালাল উদ্দিন আযহারী, আবু তালেব বেলাল, নাছির উদ্দিন মাহমুদ, গিয়াস উদ্দিন নিজামী, মাওলানা আশরাফ হোসাইন, মাওলানা নুরুল কবির রেজভী, আলমগীর ইসলাম বঈদী, আব্দুল করিম সেলিম, সোহাইল উদ্দিন আনসারী, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, ছৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, এমরান হোসাইন, এডভোকেট এ. ডি. এম আরুছুর রহমান, নুরুল্লাহ রায়হান খান, জি.এম শাহাদত হোসাইন, ফরিদুল ইসলাম, মাওলানা ইমদাদুল ইসলাম, হাফেজ ফরিদ, বশির আহমদ চৌধুরী, মাওলানা আবুল হাসান ওমাইর রেজভী,
মাওলানা আহমদ উল্লাহ ফোরকান, মাওলানা এনাম রেজা, মাওলানা মোক্তার আহমদ রেজভী, মাওলানা আবু ছাদেক আলকাদেরী, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম আলকাদেরী, মাওলানা আব্দুল আজিজ রজভী, মাওলানা সোলায়মান আলী রজভী, ছাত্রনেতা গোলাম মোস্তফা মেহেদী, রেজাউল করিম, আতিকুর রহমান, সিহাব উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, কাজী মুহাম্মদ আরাফাত, নঈম উদ্দীন, আরমান হোসেন, ওসমান গণি, এস.এম. মেজবাহ উদ্দিন, রায়হান, খালেদ বিন জাহাঙ্গীর, হুমায়ুন কবির, জহির উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন মাসুম, নুর রায়হান চৌধুরী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সরকারের হেফাজত তোষণ নীতি দেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার করবে।
সূফিবাদি সুন্নী জনতা অহিংস মতাদর্শে বিশ্বাসী। কিন্তু, উগ্রবাদি কওমী জঙ্গিরা বার বার আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। অবিলম্বে মুফতি জিহাদির মুক্তি না হলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনার নেতাকর্মীরা সর্বস্তরের সুন্নী জনতাকে সাথে চট্টগ্রাম অচল করে দিবে। সমাবেশ শেষে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল, প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম লালদীঘি পাড়ে গিয়ে সমাপ্ত হয়। মিছিল সমাপ্তির মুহূর্তে পুলিশ ন্যাক্কার জনক হামলা করে, এতে যুবসেনা সেক্রেটারি সৈয়দ মোহাম্মদ আবু আজমসহ ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।