
ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে ২৫ কিঃমিঃ দূরে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের বেলাট-দৌলতপুর গ্রামে অবস্থিত ইসলামী ঐতিহ্যের এক অনুপম নিদর্শন গোড়ার মসজিদ। প্রোথিত ইটের চিহ্ন প্রমান করে মসজিদটি সুলতানী আমলের সবচেয়ে দামী ও নামকরা মসজিদ। মসজিদ পরিদর্শনে গেলে উপলব্ধি করা যায় ৫’শ বছর পূর্বে এই অ ল কতটা সমৃদ্ধ ছিল। চার গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটিতে প্রতি দিনই দুর দুরান্ত থেকে এবাদত বন্দেগী করতে শত শত নারী-পুরুষের সমাগম ঘটে।
মানত দিতে আসা বা মানত করতে আসা নারীদের ইবাদতের জন্য রয়েছে আলাদা সু-ব্যবস্থা। গোড়ার মসজিদে নামাজ পড়ে কোনো কিছু মানত করলে আল্লাহর রহমতে সেই আশা পূরণ হয় বলে জানান আগত অতিথিরা। রোগমুক্তি কামনায় কেউ মিষ্টি, ছাগল, মুরগী আবার বা কেউ নগদ টাকাও মানত করে থাকে। আর সেই বিশ্বাসেই দিন দিন মসজিদে আগত অতিথিদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এই মসজিদের দানের টাকা দিয়ে ঈদগাহ ময়দান, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, মাদ্রাসার গেইট,
মাদ্রাসার ৫৪ জন শিক্ষার্থীর যাবতীয় খরচ, গোড়ার মসজিদের মেইন ফটক, মসজিদে যাওয়া আসার ইটের সলিং, মসজিদ প্রাঙ্গন প্লাষ্টার ও অফিস কক্ষ। এসব উন্নয়ন মূলক কাজ মসজিদে আগত অতিথিদের অনুদানেই নির্মান করা হয়েছে বলে জানান মসজিদ কমিটির সাথে সংশ্লিষ্টরা। মসজিদ কমিটির সভাপতি শেখ হাবিবুর রহমান বলেন, মানুষ আল্লাহ এর উপর বিশ্বাস করেই গোড়ার মসজিদে আসে এবাদত বন্দেগী ও মানত করতে আসে। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার শত শত মানুষের আগমন ঘটে এই মসজিদটিতে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করি তাদের সহযোগিতা করতে।