
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার হারুন বাজার গ্রামের আলা মিয়া চৌধুরী বাড়ীর কাতার প্রবাসী খোরশেদ আলমের পরিবারের উপর ভূমিদস্যু রাসেল চৌধুরী ও তার সহযোগি নজরুল ইসলাম কর্তৃক সম্পত্তি দখলের সময় খোরশেদ আলমের পরিবার বাধা দিলে ভূমিদস্যু রাসেল চৌধুরী তার সহযোগি সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে খোরশেদ আলমের পরিবারের উপর হামলা চালায়। খোরশেদ আলমের পরিবারের সদস্যদের মারধর করার সময় উক্ত সন্ত্রাসীগণ আস্ফাল করতে থাকে যে, আগামীতে এরকম বাধা দিলে খুন করে গুম করে ফেলবে।
জানা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায়, ভূমিদস্যু রাসেল চৌধুরী ও তার সহযোগি সন্ত্রাসী কর্তৃক খোরশেদ আলমের বাড়ি, ভিটা, পুকুর পুকুরের পাড় জবরদখল করে নেয়।
এ বিষয়ে প্রবাসী খোরশেদ আলমের পরিবারের পক্ষ হতে মাননীয় বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত (দক্ষিণ) মামলা নং-১২৮৯/২০ বিজ্ঞ আদালতের স্মারক নং- ২৫৭৯ তাং- ০৭-১২-২০২০ আদালতে ১৪৫ ধারায় আইনের আশ্রয় গ্রহণ করেন। খোরশেদ আলমের মেজ ভাই মাইমুনুল ইসলাম, পিতা- মৃত মোজাফ্ফর আহমদ বাদী হযে উক্ত মামলা করেন।
রাসেল ছৌধুরী, পিতা মৃত সিরাজুল হক চৌধুরী, মো. নজরুল ইসলাম, পিতা মৃত শের আহমদ চৌধুরী, সোয়াইবুল ইসলাম, পিতা- মৃত শের আহমদ চৌধুরী, কামরুজ্জামান পিতা- মো. নজরুল ইসলাম সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জনকে আসামী করেন। কিন্তু আইনের তোয়াক্কা না করে অভিযুক্ত ভূমিদস্যু রাসেল চৌধুরী গং কাজ চালিয়ে যায়। তাহার তপশীলযুক্ত সম্পত্তির বিবরণ থানা- বাঁশখালী, মৌজা-জলদী, বি.এস খতিয়ান নং ৬৯৮ ও ৬৮৪ এর অধীনে বি.এস দাগ নং-৩১৭, ৩১৮ এবং ৩১৬ এর আন্দরে ৪৬ শতক বা ২৩ গ- আন্দর ১৪ শতক /৭ গন্ডা (উত্তরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণে প্রার্থীকের বসত ঘর, পূর্বে প্রতিপক্ষগণ, পশ্চিমে চলাচলের রাস্তা)।
কাতার প্রবাসী খোরশেদ আলম কর্তৃক দাখিলকৃত বাংলাদেশ এম্বাসিতে স্বব্যাখ্যায়িত আবেদন করেন। স্মারক নং- ৪৯,০১,৯৭৪১,০০৭,১৬,১৫, ২০১৭-৯১৩। উল্লেখ্য, বিষয়ে কাতার প্রবাসী বাংলাদেশী মো. খোরশেদ আলম দাখিলকৃত “আমার নিজস্ব সম্পত্তি আত্মসাৎ এবং প্রাণনাশের হুমকি” সংক্রান্ত স্বব্যাখ্যায়িত আবেদনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুলিপি সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম সহ- পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম বরাবরে লিপিবদ্ধ করেন।
এদিকে মামলার বাদী মাইমুনুল ইসলাম জানান, ভূমিদস্যু রাসেল চৌধুরী সহ নজরুল ইসলামের সহযোগিদের নিয়ে বিগত প্রায় ৪/৫ মাস যাবৎ আমাদের ভূমি, ভিটা, পুকুর দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। করোনাকালীন সময়ে হামলা চালায় এবং আমি সামাজিক বৈঠক ও স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেও বিচার পাইনি। বিবাদীরা ১৪৫ ধারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। আমাদের পুকুরের মাছ নষ্ট ও গাছ কেটে নিয়ে যায় প্রায় লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।
এমনিক মহিলাদের শারীরিক নির্যাতন করতেও কুন্ঠাবোধ করেনি। প্রকাশ্যে বিবাদীগণ আস্ফাল করতে থাকে যে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে মেরে মাটিতে পুতে ফেলবো। রাসেল আরো বলে, আইনের আশ্রয় নিয়ে কোন লাভ নেই, আইন আমার পকেটে নিয়ে চলাফেরা করি, ১৪৫ ধারা আমার জন্য কিছুই না। এমনকি পুলিশ আসলে কাজ বন্ধ করেন, পুলিশ চলে গেলে কাজ চালাতে থাকেন। এমনতো অবস্থায় আমি প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন করছি, যাতে আমার দায়েরকৃত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক বিচারের মাধ্যমে আমাদের জায়গা আমরা ফিরে পেতে পারি।