
মোসলেম উদ্দিন(ইমন):
নগরীর বাকলিয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে পোস্টারিং করায় আশিকুর রহমান রোহিত (২০) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. মহিউদ্দিনের (৩৫) নেতৃত্বে ৫-৬জন সন্ত্রাসী। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাকলিয়ার দেওয়ান বাজারের কেডিএস গলিতে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত রোহিতকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা।ঘটনার ব্যাপারে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, এমইএস কলেজের একদশ শ্রেণীর ছাত্র রোহিতের ওপর হামলার ঘটনায় তার বড় ভাই জাহিদুর রহমান বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

আসামিরা হল সাহাবু প্রকাশ কালা সাহাবু (২৬), মো.বাবু (২১) ও মো .মহিউদ্দিন (৩৫)। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযানে অব্যাহত রয়েছে।রোহিতের বড় ভাই জাহিদুর রহমান জানান, গত ৫ই জানুযারি স্থানীয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মা মনি ক্লাবের পক্ষ থেকে এলাকায় মাদক বিরোধী পোস্টারিং করে রোহিতসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে এসব পোস্টার আসামিরা ছিঁড়ে ফেলতে গেলে রোহিত বাধা দেয়। সেদিন তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় আসামিরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে পরিকল্পিতভাবে তারা রোহিতের ওপর হামলা চালায়।
রোহিতের পেটে ও পিটে মারাত্মকভাবে ছুরির আঘাত লাগলে তাকে উদ্ধার করে চমেকে ভর্তি করা হয়। সে বর্তমানে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।আইসিইউর দায়িত্বরত একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রোগীর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। রোগীর জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। এই অবস্থা থেকে ফিরে আসার সম্ভবনা ৩০%! স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়, রোহিত খুব ভালো ছেলে। সে প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করতো।সে ছিলো জুয়াড়ী, দেহ ব্যবসায়ী,
মাদকসেবী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক। স্থানীয় মাদক ও পতিতা ব্যবসায়ী মমতাজ বেগম প্রকাশ নাচনেওয়ালী বেবীর অসামাজিক কর্মকান্ডে বাঁধা দেওয়ায় তার ওপর কয়েকবার হামলা করেছিল এই সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসী সাহাবু প্রকাশ কালা সাহাবু, মো.বাবু, মো .মহিউদ্দিন, আকবর,রফিক এবং বেবির ছেলে ইমন বেবীর নেতৃত্বে মাদক ব্যবসা করে। এই সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদেরকে চকবাজার থানা পুলিশ কয়েকবার আটক করার পরেও অদৃশ্য শক্তির কারণে ছেড়ে দিয়েছে। এই কারণে সন্ত্রাসী আরো বেপরোয়া হয়ে রোহিতের ওপর এভাবে ন্যাক্কারজনক হামলা চালানোর সাহস পেয়েছে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।