
মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের আধ্যাত্বিক সাধক মাইজভান্ডার শরাফতের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) এর ১১৫ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ শুরু হয়েছে আজ। আজ ২৪ জানুয়ারী ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ প্রধান দিবস অনুষ্ঠিত হবে।ওরশ উপলক্ষে আহমদিয়া মনজিল, গাউছিয়া হক মনজিল, রহমান মনজিল, খালেক মনজিলসহ মাইজভান্ডার শরীফস্থ সকল মঞ্জিল ব্যপক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। ওরশ শরীফের আগের দিন রওজা শরীফ গোসল, গিলাফ ছড়ানো ও জিয়ারতের মধ্যে দিয়ে ওরশ শরীফের র্কমসূচী শুরু হয়েছে।ওরশ শরীফের দিন রাত ১১ টায় থেকে শুরু হবে কেন্দ্রীয় মাহফিল।
স্ব স্ব মঞ্জিলের পীর সাহেব গণ, আশেক ভক্ত দেশ, জাতি ও বিশ্বের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করবেন।হযরত কেবলা আলম এর মহান ১০ মাঘ বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে ইতোমধ্যে লক্ষাধিক ভক্ত মাইজভান্ডার শরীফ সহ আশেপাশের পুরো এলাকা জুড়ে অবস্থান করছে।বিশাল এলাকা জুড়ে বসেছে লোকজ শিল্পপণ্যের মেলা। জিকির জিয়ারত আলোচনা, জীবন দর্শন, মিলাদ মাহফিল, সেমা মাহফিল, ঢোল বাজনা, আধ্যাত্মিক গান মাইজভান্ডারী গানের মূর্ছনায় ভক্তরা আপ্লুত হয়ে গাউসুল আজম মাইজভান্ডারীর ফয়েজ বরকত কামনা করছেন।
শাহানশাহ জিয়াউল হক মাইভাণ্ডারী ট্রাস্ট এককভাবে ১০ দিনের বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ওলামা মাশায়েক সমাবেশ, শিশুকিশোর সমাবেশ, মহিলা সমাবেশ, ট্রাস্টের সব কমিটি এলাকায় দুস্থদের মাঝে সহায়তা প্রদান, র্যালি, এতিম ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।উপজেলা প্রশাসনের পক্ষেও আইনশৃংঙ্খলা রক্ষায় ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ১০ মাঘ উপলক্ষে পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় থানা পুলিশ, র্যাব, আনসার ও দুই সহস্রাধিক বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে।
ওরশ উপলক্ষে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও ভিডিওচিত্র ধারণের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সবসময় টহলরত আছে। যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য নাজিরহাট নতুন রাস্তার মাথা, ফটিকছড়ি সদর ও নানুপুর লায়লা কবির বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে -গলিতে সিসি ক্যামরা স্থাপিত হয়েছে, পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুকুর আবর্জনামুক্ত রাখা এবং প্রয়োজনীয় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্রাম্যমাণ স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া যোগাযোগের জন্য একটি তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে।