
গত ১৯ মার্চ শুক্রবার পাঠিয়ালছড়ির ‘শোকর এ মওলা’ মঞ্জিলে মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি, হারুয়ালছড়ি শাখা আয়োজিত পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দঃ), মাইজভান্ডারী দর্শন শীর্ষক আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য বিশিষ্ট মাইজভাণ্ডারী গবেষক ও তাত্তিক বিশ্লেষক শাহেদ আলী চৌধুরী।
এস এম নেওয়াজ শাহরিয়ার আসিফের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন অধ্যাপক ড. নিজাম উদ্দিন জামি শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, ঢাকার বাংলা বিভাগের সহকারী প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. ইফতেকার উদ্দিন চৌধুরী বরেণ্য সমাজবিজ্ঞানী,শিক্ষাবিদ ও প্রাক্তন উপাচার্য-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ সাতকানিয়া জাফর আহমদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা মাইজভান্ডারী দর্শন ভিত্তিক ছাত্রসংগঠন জ্যেতি ফোরামের সভাপতি শফিউল আজিম সুমন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. ইফতেকার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মানবাধিকার দলিল নবী মুহাম্মদ মোস্তফা (স.) বিদায় হজের ভাষণ। দেড় হাজার বছর আগে দেওয়া এ ভাষণে মানবতার মুক্তির এমন কোনো দিক নেই, যার ছোঁয়া এ মূল্যবান ভাষণে লাগেনি।
এই ভাষণে নারীর অধিকার সম্পর্কে রাসুল (স.) যে তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন ইতিহাসে যার কোনো তুলনা নেই। নারীর উপর পুরুষের এবং পুরুষের উপর নারীর হকের কথা বলা হয়েছে। নারীদের কীভাবে সম্মান করতে হবে তার নির্দেশনা রয়েছে ।প্রধান আলোচক বক্তব্যে ড. জামি বলেন, মাইজভাণ্ডারী দর্শনের আলো জালাচ্ছেন শাহেদ আলী চৌধুরী। তার বহুমাত্রিক গুণ আছে।
ফলে আমাদেরকে পীরের কাছে যেতে হবে। কারণ পীরেরা আল্লাহ, রাসূলের পথ দেখান। নবুয়াত শেষ। এখন বেলায়েতে মোতলাকার যুগ। মাইজভাণ্ডারী তরিকা পৃথিবীর এমন একটি তরিকা যেটি বাংলার মাটিতে তৈরি হয়েছে। না বুঝে কোন কিছুর সমালোচনা করা যাবে না। আমাদের জানতে হবে, পড়তে হবে।সভাপতির বক্তব্যে মাইজভাণ্ডারী গবেষক শাহেদ আলী চৌধুরী বলেন, “মাইজভাণ্ডার হচ্ছে একটি মোহনা।
এ মোহনায় এসে পৃথিবীর সব দর্শন মিশে গেছে। প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি শক্তি লাগবে। সেটি হচ্ছে অলি আল্লাহ। মুসলমান হচ্ছে মাহাত্ম্যপূর্ণ যার মধ্যে খোদার মাহাত্ম্য প্রকাশ। অহংকারী ব্যক্তি আল্লাহর আলো পাবে না। আর মাইজভাণ্ডারী দর্শন হচ্ছে কুরআনের নিযাস।” পরে মুনাযাতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়