
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া পাঁচ হাজার নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারে গোপনে-ওপেনে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ‘ভালোবাসার পোটলা’ পৌঁছে দিচ্ছেন চট্টগ্রাম দারুল মুস্তফা মডেল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, বহদ্দারহাট এককিলোমিটার নাফিস স্টীলস এর সত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব মুহাম্মদ নঈমুল ইসলাম (পুতুল)। ২৩ এপ্রিল শুক্রবার নগরীর এককিলোমিটারস্থ নাফিস ভবন থেকে দুপুরে পোটলাগুলো ঘরে ঘরে পোঁছানোর কার্যক্রম শুরু হয়। মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে হাটহাজারী ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কয়েকটি এলাকায় এ কার্যক্রম চলবে। ভালোবাসার পোটলা প্রেরণ প্রসঙ্গে নঈমুল ইসলাম (পুতুল) বলেন, মহান আল্লাহ আমাকে কিছুটা সামর্থ্যবান করেছেন।
স্বল্প সামর্থ্য থেকে এ ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি আনন্দিত। সৃষ্টির সেবাই ¯্রষ্টা মিলে। আর ¯্রষ্টার কৃতজ্ঞতা স্বীকারের মাধ্যম এটি। পোটলাগুলো প্যাকেটিং কাজ করছেন জনাদশেক লোক। তাদের নির্দেশনা ও দেখভাল করছেন নাফিস স্টিলের ম্যানেজার মুহাম্মদ ফোরকান। তিনি বলেন, আমাদের সাহেব বছরজুড়েই বিভিন্ন সেবাধর্মী কাজ করেন। ওনার এসব কাজের সাথে আমরা পরিচিত। তাই বন্ধের দিন হলেও সাহেবের সেবা উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে ও বাস্তবায়ন করতে আমরা নিজ উদ্যোগে কাজ করতে চলে এসেছি।
চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও হাটহাজারীর বিভিন্ন স্থানে ভালোবাসার পোটলাগুলো ঘরে ঘরে পৌঁছাতে সমন্বয়ের কাজ করছেন সাবেক ছাত্রনেতা মুহাম্মাদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী। জনাসমাগম না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সহায়তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কথা জানিয়ে মাছুমুর রশিদ কাদেরী বলেন, করোনার কারণে অনেক সচ্ছল পরিবারও কষ্টে দিনাতিপাত করছে। একসময়ের সচ্ছল পরিবারগুলো বিপদের এ মুহুর্তে আত্মসম্মানবোধের কথা চিন্তা করে সাহায্যও চাইতে পারছেন না।
তাই আমরা তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের সহায়তা কার্যক্রম ডোর টু ডোর করছি এবং ছবি সংস্কৃতির আওতামুক্ত রাখছি। অপরিকল্পিত উপায়ে সহায়তা কার্যক্রমের কারণে কোন পরিবার বারবার পাচ্ছে আবার কিছু একেবারেই পাচ্ছে না বলে উল্লেখ করে তিনি বিত্তবানদের সহায়তা কার্যক্রমগুলো পরিকল্পিতভাবে পালন করার আহবান জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুুহাম্মদ এয়াকুব, মুুহাম্মদ রাশেদুুল হক সুমো, এককিলোমিটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি এম শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক এস এম জেড খসরু,
সাবেক ছাত্রনেতা মুুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী, মুুহাম্মদ মহিউদ্দিন, মুুহাম্মদ ফোরকান, মুুহাম্মদ শওকত হোসেন, এস এম মুজিবুর রহমান প্রমুখ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ‘ভালোবাসার পোটলা’ উদ্যোগটি প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য ভাবে চলবে ও প্রয়োজনে সহায়তার আওতায় আরো পরিবারকে যুক্ত করার কথাও জানান সাবেক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।