চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানাধীন আমান বাজার নিবাসী শামসুল আলমের পুত্র, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট মাসুদুল আলম বাবলু ক্ষমতার অপ-ব্যবহার করে, মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় জোর পূর্বক জায়গা জবর দখল করে গৃহ নির্মান, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া, মামলা পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, চলাচল রাস্তা বন্ধ করে দেওয়াসহ বিভিন্ন বে-আইনী কাজের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষনের নিমিত্তে (১০ নভেম্বর) শনিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন নির্যাতিত পরিবার। নির্যাতিতদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রেহেনা বেগম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এডভোকেট মাসুদুল আলম বাবলু চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং সম্পর্কে তার চাচাতো ভাই হয়। তার পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের সম্পত্তির ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। উক্ত বিরোধ নিস্পত্তি না হওয়ায়, প্রায় ১৬ গন্ডা বিরোধীয় সম্পত্তির বিষয়ে গত ১৬/৩/২০১৭ ইং তারিখে এড. মাসুদের পিতা শামসুল আলম গংকে আসামী করে উপযুক্ত বিজ্ঞ আদালতে বিভাগ মামলা দায়ের করি, যার নং-১৫১/১৭। উক্ত মামলা দায়ের করার কয়েক মাস পর, এড. মাসুদ ও তার পিতা আমাদেরকে আরবিটরেটারের মাধ্যমে মীমাংসার প্রস্তাব প্রদান করেন। তারা তাদের প্রস্তাবে সম্মত হইয়া মিমাংসার আশায় (মাননীয় আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল থাকার পরেও) স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশের জন্য দরখাস্ত প্রদান না করায়, স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ নেওয়া সম্ভব হয় নাই। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এড. মাসুদ ও তার পিতা শামসুল আলমসহ তাদের দলীয় লোকজন রাতের অন্ধকারে বিরোধীয় সম্পত্তিতে ৩/৪টি গৃহ নির্মানের কাজ শুরু করেন। আমরা যেন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি, সেজন্য আমার (হার্ট ও ক্যান্সারের রোগী) বৃদ্ধ মা-বাবাকে মিথ্যা চুরির মামলায় জড়িত করে, ফাঁসিয়ে দেয় এবং এড. মাসুদ ও তার পিতা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমাদের দীর্ঘদিনের চলাচল রাস্তায় লোহার গেইট নির্মান করে, চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে। গত ২২/৬/২০১৮ ইং তারিখ রাত আনুঃ ১১.০০ ঘটিকার সময় কাজে বাধা দিতে গেলে এড. মাসুদ এবং তাদের দলীয় সন্ত্রাসী লোকজন তাঁর মামাতো ভাই জাহাঙ্গীর ও
আরমান এবং তার মামা সিরাজ, রাজা মিয়া, মোঃ জসীমসহ আরো ৩/৪ জন মহিলার উপর হামলা চালায়। উক্ত ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। এড. মাসুদসহ সকল আসামীরা রেহেনার দায়েরকৃত মামলা হইতে বিজ্ঞ আদালতে আতœ-সমর্পন পূর্বক জামিন লাভ করেন। এড. মাসুদের দায়ের করা মামলায় তারা জামিন নিতে গেলে, এড. মাসুদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদেরকে অনেক হয়রানি করে। এমনকি তাদের নিযুক্ত আইনজীবীর কাছ থেকে তাদের জামিননামা কেড়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলেন। এড. মাসুদ নাকি হুংকার দিয়ে বলেন যে, রেহেনা বেগমের পরিবার তার কিংবা তার পরিবারের বিরুদ্ধে কোন মামলায় জয় লাভ করতে পারবেনা, সব আদালত তার কথায় চলে। তার সাথে আপোষ করা ছাড়া তাদের কোন পথ খোলা নেই। তার সাথে আপোষ না করলে, তাদেরকে আরো মিথ্যা মামলায় জড়িত করিয়া ব্যাপক হয়রানী করিবে। এড. মাসুদের এই ধরনের কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মনু মিয়া, সেনোয়ারা বেগম, মো: সিরাজ, মো: জাহাঙ্গীর, রুপা বেগম, রোকসানা বেগম, নূর বেগম, দেলোয়ারা বেগম প্রমুখ। তারা উক্ত আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি এবং প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান।