
মাহমুদুল হাসান:টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র একই ইউনিয়নের (হেমনগর) সাত জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। সেই সাথে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগসহ প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নারুচী গ্রামের বর্তমান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামানের ছেলে খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, একই ইউনিয়নের বেলুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল হারুন-অর-রশিদ, খামারপাড়া গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. নুরুন নবী, আরেক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সুলতান মাহমুদ খান।
অপরদিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হেমনগর ইউনিয়নের গোলপেচাঁ গ্রামের কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং তার বড় ভাই সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু।
বড় দুই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ খন্দকার আসাদুজ্জামান কয়েক বছর ধরে অসুস্থতায় নিষ্ক্রিয়।
ফলে সেই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইছেন তারই ছেলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতিও রয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ড. নুরুন নবী ও সুলতান মাহমুদ খান এর হয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী-সমর্থক। বিভিন্ন জায়গায় সাঁটানো পোষ্টারে নতুন মুখ দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহল জেগেছে।অন্যদিকে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করা কর্নেল (অব:) হারুন-অর-রশিদও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
অপরদিকে এই ইউনিয়ন থেকেই ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি’র টিকেটে আব্দুস সালাম পিন্টু সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শিক্ষা ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা-মামলার রায়ে আব্দুস সালাম পিন্টু ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
যেনে রাখা ভালো যে খন্দকার আসাদুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুজিব নগর সরকারের অর্থসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং কেবিনেট মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্থাপন বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বসহ বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
হেমনগর ইউনিয়নের অনেকেই জানান, প্রত্যেকবার সংসদ নির্বাচনে এই ইউনিয়ন থেকে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন। এই ইউনিয়ন থেকেই আওয়ামী লীগ অথবা বিএনপির এমপি হোন।
হেমনগর ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ২৬৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১৩হাজার ৬২০ ও মহিলা ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৬৪৫জন।