
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনের ফলাফল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তবে শুক্রবার (১৮ জুন) নির্ধারিত দিনে শুনানিতে উপস্থিত হননি তিনি। ফলে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে শুনানির তারিখ।আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা।জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী এই ধরনের মামলার শুনানির সময় আবেদনকারীর আদালতে উপস্থিত থাকার কথা। শুক্রবার এ কথা বলেন বিচারপতি।
মামলার আবেদন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাই আদালতে তার উপস্থিত থাকার বিষয়টি উত্থাপন করেন বিচারপতি। মুখ্যমন্ত্রী শুনানির সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন কি-না তা মমতার আইনজীবীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে মমতার আইনজীবী জানান, যা নিয়ম আছে তা মানা হবে।তবে বিধানসভার ফল সংক্রান্ত মামলাটি বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে ওঠা নিয়ে প্রতিবাদ জানান আইনজীবীদের একাংশ। তাদের দাবি, বিচারপতি কৌশিক চন্দ এক সময় বিজেপির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সে কারণে এ মামলার সুষ্ঠু বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
গত ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পরই মমতা নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।ভোট গণনার দিন টান টান উত্তেজনায় প্রথমে খবর আসে, ১২০০ ভোটে নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা। তার ঠিক কিছুক্ষণ পরেই আবার খবর আসে, নন্দীগ্রামে মমতা নয়, জিতেছেন শুভেন্দু। ১৯০০-র কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে তিনি জিতেছেন নন্দীগ্রামে। পরে শুভেন্দুকে জয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। তখন থেকেই গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস।
কারচুপির অভিযোগে একাধিক বিষয় তুলে ধরা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। ভোট গণনার সময়ে দুই ঘণ্টার জন্য সার্ভার চলে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে দলটি। এছাড়াও প্রথমে মমতাকে ১২০০ ভোটে জয়ী ঘোষণার পরেও নতুন করে গণনা করে শুভেন্দুকে বিজয়ী ঘোষণার বিষয়টিও ভালো চোখে দেখেনি তারা।