
যোগদানের মাত্র সাড়ে তিন মাসের মাথায় স্ট্যান্ড হওয়া দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ইউএনও নজরুল ইসলামের স্থলবিষিক্ত হয়েছেন বেগম ফাতেমা-তুজ-জোহরা।
৫ জুলাই সোমবার বিভাগীয় কমিশনার কাযলয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) খন্দকার জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ফাতেমা-তুজ-জোহরাকে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে পদায়ন করা হয়।
এর আগে গত ৪ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা এর উপ সচিব কে.এম আল. আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সাতকানিয়ার ইউএনও নজরুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে তারস্থলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল বশিরুল ইসলাম দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ ছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার মাদবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলী আদেশাধীন) বেগম ফাতেমা-তুজ-জোহরাকে উপজেলাকে নির্বাহী অফিসার হিসেবে পদায়নের জন্য চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কার্যলয়ে ন্যস্ত করা হয়েছিল। চট্টগ্রামে যোগদানের মাত্র একদিনের মাথায় সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে পদায়ন হলো তার। প্রসঙ্গত, গত ২ জুলাই দুপুরে লকডাউনের মধ্যে রোগী দেখতে চেম্বারে যাওয়ার পথে ফরহাদ কবির নামের এক চিকিৎসকের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও জেলের হুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম।
এঘটনায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমানের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে গত ৪ জুলাই শনিবার দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা এর উপ সচিব কে.এম আল. আমিন স্বক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ইউএনও নজরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে সংযুক্ত করা হয়।