
মাহমুদুল হাসান:
গোপালপুরের হেমনগর ইউনিয়নের শিমলাপাড়ার মো. বাদশা মিয়া (৬৫)।সে ঐ এলাকার মো. তাহের মিয়ার ছেলে।সে প্রচন্ড অসুস্থ এবং রোমেলের সমর্থক।গোপালপুর-ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল-২) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মশিউজ্জামান রোমেল তার অসুস্থ সমর্থককে ফেলে নিজ নির্বাচনী এলাকায় চলে গেছেন। জানা যায়, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশী মশিউজ্জামান রোমেল তার সমর্থকদের নিয়ে ঢাকাস্থ ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে তার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে যান। গোপালপুরের হেমনগর ইউনিয়নের শিমলাপাড়ার মো. বাদশা মিয়াও ছিলেন তাদের সাথে। বিকেল ৩টার দিকে সমর্থক বাদশা মিয়া রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। বাদশা মিয়া অসুস্থ হওয়ার পরও রোমেল বা তার সঙ্গীয় নেতৃস্থানীয় সমর্থকরা তার কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন নাই। সেসময় বাদশা মিয়াকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে শিমলাপাড়ার আরো কিছু লোকজন ছেলে
রফিকুল ইসলাম (৩০)কে মোবাইলে সংবাদ দেন। অন্যকে কোন চিকিৎসা না দিয়েই অসুস্থ বাদশা মিয়াকে নিয়ে তারা টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা হয়। পরে বাদশা মিয়ার ছেলে মেঝ ছেলে রফিকুল তার বাবাকে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত ডাক্তার বাদশা মিয়ার ব্রেনের সিটিস্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছেন। এদিকে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান (ছোট মনির) ঘটনাটি জানার সাথে সাথেই বাদশা মিয়ার চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। এ বিষয়ে বাদশা মিয়ার মেঝ ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা অসুস্থ হওয়ার পর রোমেলের একটি লোকও আমার বাবার খোজ খবর নেয় নাই। এমনকি তাকে কোন প্রকার চিকিৎসা না দিয়ে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল নিয়ে আসে। এসময় তিনি আরো বলেন, যে ব্যক্তি নির্বাচিত হওয়ার আগেই সমর্থকদের মূল্যায়ন করেনা, এমনকি অসুস্থ সমর্থকের খোঁজ খবর নেয় না। সে নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারণ জনগণের কতটুকু কাজে লাগবে?