![](https://ajanabangladesh.com/wp-content/uploads/2022/03/life2.gif)
লাইভে এসে কাঁদলেন মেয়র আব্বাস:চাইলেন ক্ষমা ‘বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করলে পাপ হবে’—এমন মন্তব্যের অডিও ক্লিপ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার পর নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী। তিনি কোথায় আছেন, তা কেউ জানেন না।এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে প্রথমবার ফেসবুক লাইভে এলেন তিনি।
লাইভে এসে কেঁদে ক্ষমা চাইলেন আব্বাস। কথা বলেন ১৯ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। প্রথমে তিনি স্বাভাবিকভাবে কথা বললেও পরবর্তী সময়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং সবার উদ্দেশে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।মেয়র আব্বাস বলেন, ‘আমার এক মিনিট ৫১ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ নিয়ে আজ সারাদেশ তোলপাড়।
কিন্তু আমি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো কটূক্তি করিনি। আমি বঙ্গবন্ধুকে অনেক ভালোবাসি এবং তার আদর্শকে ধারণ করে চলি। তার সম্পর্কে কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। কিন্তু ম্যুরাল নিয়ে আমার কিছু বক্তব্য ছিল। আজকে এ বিষয়টি সবার কাছে স্পষ্ট করতে চাই।
তিনি বলেন, তাকে (বঙ্গবন্ধুকে) কটূক্তি করার মতো দুঃসাহস আমার নেই।
আপনারা অডিও ক্লিপটা ভালো করে শোনেন।সেখানে কোথাও কোনো আপত্তিকর কথা নেই। সেখানে আমি কোনো কটূক্তি করিনি। তিনি না সৃষ্টি হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। তিনি বাঙালি জাতির অহংকার। তাকে নিয়ে কটূক্তি করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু ম্যুরাল নিয়ে কথা আসছে।এরপর আব্বাস বলেন, আমিই প্রথম ম্যুরাল নিয়ে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড দিয়েছিলাম।
সবার মতামত জানতে চেয়েছিলাম। এরপর কাটাখালী মাদরাসার বড় হুজুরের কাছে যাই। তাদের মতামতের বিষয়ে জানতে চাই। কিন্তু তার আপত্তির কারণে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের কাটাখালী পৌরসভা গেট নির্মাণস্থলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ থেকে সরে আসি।মেয়ের বলেন, আমি একজন মুসলমান। তাই একজন আল্লাহওয়ালা লোকের কথা শুনে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি।
লাইভে এসে কাঁদলেন মেয়র আব্বাস:চাইলেন ক্ষমা এটা যদি আমার ভুল হয়ে থাকে, তাহলে আমি ক্ষমা চাই। তবে এর জন্য আমাকে নানা ধরনের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। যে শাস্তি আমি সহ্য করতে পারছি না। বাড়িতে আমার মা অসুস্থ। আমার চার বছরের ছোট ছেলের কাছে যেতে চাই। আমি আমার এলাকায় ফিরে যেতে চাই। এ জন্য আপনাদের সহযোগিতা চায়।