কিশোরগ্যাং লিডার‘ধামা জুয়েল’ গ্রেপ্তার চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মো. জুয়েল ওরফে ধামা জুয়েল। এলাকায় সে হামকা জুয়েল নামেও পরিচিত। পুলিশের শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়ও আছে তার নাম। অস্ত্র, মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি আছে বেশকটি মামলায়। শুধু সন্ত্রাসবাদে নয়, কিশোর গ্যাং তৈরিতেও রয়েছে তার একচ্ছত্র নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে নগরের তালিকাভুক্ত এ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।গ্রেপ্তার জুয়েল নগরের চান্দগাঁও থানাধীন কসাইপাড়া এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, জুয়েল নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় একটি ছিনতাইতারী চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করতো।
চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় সে সব সময় সক্রিয় ছিল। সে শুধু সন্ত্রাসীদের হয়েই নেতৃত্ব তো না, কিশোর গ্যাং তৈরি করে এলাকায় রাজত্ব কায়েম করে আসছিল। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ করেন অনেকেই।অভিযোগ আছে, গত এপ্রিলে বারাই পাড়া এলাকার আনোয়ার নামে এক গার্মেন্টস কর্মকর্তাকে কুপিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল জুয়েল ও তার সহযোগীরা।
হক মার্কেটের সিকিউরিটি গার্ড আব্দুর সবুর, কিশোর জিয়াদ ও নুরুল আলম হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল জুয়েল। চাঁদার জন্য আমজাদ হোসেন নামে এক যুবকের দুই পায়ে ড্রিল মেশিনে ছিদ্র করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে।পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগর ও জেলার বিভিন্ন থানায় জুয়েলের নামে আটটি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে কিছু মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও আছে। সে ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিতে সক্রিয় ছিল।
কিশোরগ্যাং লিডার‘ধামা জুয়েল’ গ্রেপ্তার চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান বলেন, জুয়েল পুলিশের তালিভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার নামে বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা আছে। গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে পিস্তল, গুলি ও ম্যাগাজিনসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জুয়েলের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।