
আরিফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে।।
জাতীয়পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট কলামিস্ট, সেরা সংগঠক, প্রবীণ, ত্যাগী-নিবেদিতপ্রাণ ও বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে আবারো এমপি হিসেবে দেখতে চায় দলমত নির্বিশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের নানা শ্রেণীপেশার সাধারণ মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাধারণ মানুষের মধ্যে তার আকাশচুম্বি যে জনপ্রিয়তা রয়েছে এই নিবাচর্নী আসনে মহাজোট প্রার্থী হিসেবে তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি আবারো বিজয়ী হওয়া সুনিশ্চিত। যেই কারণে সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষ জিয়াউল হক মৃধাকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে তৃতীয়বারের মতো মহাজোট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিতে মহাজোট নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃর্ষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এই আসনে বিগত নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত টানা দুইবারের এমপি জিয়াউল হক মৃধা এই নির্বাচনী এলাকায় গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি থেকেছেন সামনের সারিতে, দিয়েছেন সফল নেতৃত্ব। জনগণের অধিকার রক্ষায় তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ।
জিয়াউল হক মৃধা বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ মহাজোট নেতৃবৃন্দদের নিয়ে কাজ করতে চান। জিয়াউল হক মৃধা বলেন, আমি এখানে টানা দুইবারের নির্বাচিত এমপি। বিগত ১০ বছরে এখানে আমার নেতৃত্বে অভাবনীয় উন্নয়ন কাজ হয়েছে। গ্রামের যেইসব রাস্তায় রিকশা চলাচলের সুবিধা ছিল না, সেইসব সড়কে এখন প্রাইভেটকার, পিকআপ ভ্যান সহ ইত্যাদি মোটরযান চলাচল করছে। এখানকার কয়েক গ্রামের মানুষ তাদের এলাকায় সড়ক নির্মাণ হবে এমন স্বপ্ন দেখতে দেখতে যুগের পর যুগ কাটিয়ে দেন। আমি এমপি হওয়ার পর সেইসব মানুষের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছি, সেই এলাকায় সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে। সরাইল উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে।
তবে এইসব উন্নয়ন তার আমলে বাস্তবায়ন হলেও এসবই সম্ভব হয়েছে মহাজোট নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতার কারণেই -এমনটিই দাবি করেছেন জিয়াউল হক মৃধা এমপি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাংসদ জিয়াউল হক মৃধার আমলে বিগত ১০ বছরে এই নির্বাচনী এলাকায় কমবেশি চোখে পড়ারমতো উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমুলক কাজ হয়েছে, যার সুফল ইতিমধ্যে এখানকার লাখো মানুষ পাচ্ছে। এছাড়াও এমপি হিসেবে তাকে পেয়ে প্রকৃত “এমপি’র স্বাদ” পেয়েছেন এখানকার মানুষেরা- এমন কথাও গ্রামে গ্রামে আলোচনা আছে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।
এখানকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের দাবি, তারা জিয়াউল হক মৃধাকে আবারো এমপি হিসেবে চান। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, তার (এমপি জিয়াউল) বাড়িতে গভীররাতেও মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে গেলে তিনি দেখা দেন এবং মানুষের সকল সমস্যা মনোযোগ সহকারে শুনেন। তিনি অত্যন্ত ধৈর্য্যশীল একজন ব্যক্তি। তার মধ্যে কোনো অহংকার নেই। এখানকার নানা শ্রেণীপেশার মানুষেরা জিয়াউল হক মৃধাকে আবারো এমপি হিসেবে পেতে চায়।
এদিকে সাংসদ জিয়াউল হক মৃধার আমলে করা নানা জনগুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন দেখলেই বুঝা যায়, এই গণমানুষের নেতা এখানকার মাটি ও মানুষদের কতো ভালোবাসেন। ভালোবাসা দিলে ভালোবাসা পাওয়া যায়, এর জ্বলন্ত প্রমাণ এখানকার সাধারণ মানুষ ও জিয়াউল হক মৃধা। তাইতো টানা দ্বিতীয় মেয়াদে এমপি হিসেবে দায়িত্বপালনের পরও জিয়াউল হককে এখানকার দলবল নির্বিশেষে সাধারণ মানুষেরা আবারো তৃত্বীয়বারের এমপি হিসেবে নির্বাচিত করতে চায়।
তিনি বহু প্রতিক্ষিত সরাইল-অরুয়াইল সড়ক নির্মাণ করিয়ে তিন ইউনিয়নের লাখো মানুষের জীবনযাত্রার মান বহুগুণে উন্নত করেছেন। ফলে উপজেলার চুন্টা, পাকশিমুল ও অরুয়াইল ইউনিয়নের মানুষেরা বর্তমানে শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যে ও সংস্কৃতিতে অনেক এগিয়েছে। আর সেইসব এলাকার মানুষেরা এই বিশাল উন্নয়নের জন্য এবং এখানকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো জিয়াউল হককে এমপি নির্বাচিত করতে চায়।
শাহজাদাপুর, নিয়ামতপুর ও ধাউরিয়া এই তিন গ্রামে স্বাধীনতাত্তোর ৪৭ বছর পর বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে সাংসদ জিয়াউল হক চমক সৃষ্টি করেছেন। যুগের পর যুগ ব্যবহারের অসহনীয় হারিকেন ও কুপি বাতির বদৌলতে কারেন্টবাতি পেয়ে এখন সেই তিন গ্রামের মানুষদের একটাই দাবি, এমপি হিসেবে তারা জিয়াউল হককেই চান।
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এ কর্মসূচির আওতায় এখানকার বেশকিছু এলাকার প্রকৃত সুফলভোগী মানুষেরা সৌর বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছেন এই এমপি’র সঠিক তদারকির কারণেই। সরাইল থানা কমপ্লেক্স ভবন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, উপজেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভবন সহ বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ হয়েছে তার আমলে।
এখানকার থানাপুলিশের নতুন যানবাহন, সরাইল ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সহ উন্নতমানের অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহে এমপি জিয়াউল হক মৃধার অবদান এখানে উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও ছোটবড় অসংখ্য রাস্তা, ব্রীজ ও কালভার্ড নির্মাণ সহ নানা উন্নয়ন কাজ করিয়ে জিয়াউল হক মৃধা এখানকার সাধারণ মানুষদের কাছে এখন জনপ্রিয় গণমানুষের নেতা।
এলাকাবাসীর দাবি, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তারা জিয়াউল হক মৃধাকে এমপি নির্বাচিত করবেন। এ জন্যে মহাজোট নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চান এলাকার নানা শ্রেণীপেশার মানুষেরা।