বেনাপোল স্থলবন্দর দখল নিতে বহিরাগত বোমা হামলায় ২০ শ্রমিক গুরুতর আহত: দু’দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানী বন্ধ বেনাপোল স্থলবন্দর দখল নিতে বহিরাগত দুর্বৃওদের মুহুমুহ বোমা হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন পথচারী সহ বন্দরের ২০ শ্রমিক। ফলে বেনাপোল বন্দরের সাথে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সাথে প্রায় ৬ ঘন্টা আমদানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল।সেমবার (২৮ মার্চ) সকালে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই একদল দুর্বৃও বন্দরের হ্যান্ডলিং কার্যক্রম দখলে নিতে শ্রমিক সংগঠনের অফিসের সামনে মুহুমুহু বোমা হামলা শুরু করে। বোমার আতংকে বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কর্মরত শ্রমিকরা প্রাণ বাচাতে এদিক ওদিক ছোটা ছুটি করতে থাকে।
সকাল থেকে দুপুর বিকাল পর্যন্ত প্রায় অর্ধ শতাধিক বোমার বিস্ফোরন ঘটায় উভয় পক্ষ। পথচারী গুরুতর আহত ইমরান হোসেন সহ ৫ শ্রমিক কে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ভর্তি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে হ্যান্ডলিং শ্রমিকের ঠিকাদারি কাজ দখল নিতে স্থানীয় আওয়ামীলীগের দুটি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে ছিল বলে বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন। শার্শা থানা, বেনাপোল পোর্ট থানা ও র্যাপিট একশান ব্যাটালিয়ন র্যাব এর যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় ৫ ঘন্টার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্দরে সব ধরনের মালামাল ওঠা নামা সহ পন্য খালাশ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে দু দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বাণিজ্য সচল হয়েছে।বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ঠিকাদার ও শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ জানান, সকালে প্রতিদিনের ন্যায় শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। কোন কিছু বোঝার আগেই বহিরাগত একদল শ্রমিক বন্দরের সামনে অর্ধ শতাদিক বোমার বিস্ফোরন ঘটায় ফলে বন্দরে সব ধরনের কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। রাশেদ বাহিনীর লোকজন বন্দরে এধরনের বোমা হামলা করেছে বলে তিনি জানান।
নাভারন পুলিশের “ক” সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, বোমা হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে রাশেদ কাউন্সিলর এর নেতৃত্বে বন্দরে বোমা হামলা করা হয়েছে বলে জানাগেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৩জনকে আটক করেছে।