
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো অসংখ্য আইন প্রতিষ্ঠা করে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে সেমিনারে বক্তৃতা করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে একটি অভিজাত হোটেলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী ও সাধারণ মানুষের আন্দোলনের পাশে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে বিএনপি। এ আইনের বিভিন্ন অপপ্রয়োগ তুলে ধরে সেমিনারের আয়োজন করে দলটি।
এ সময় সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি নেতারা বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা কালাকানুনের মধ্য দিয়ে বিরোধী মত দমনের চেষ্টা করছে সরকার। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের অনিয়ম প্রতিহতেরও ঘোষণা দেন তারা।
সেমিনারে সভাপতির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, অতীতের মতো আবারও ক্ষমতায় যেতে সরকার আইনের অপপ্রয়োগ করছে। তবে এবার আর কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, অবৈধ সরকার দখলদারিত্বের দিকে চলে গেছে। সরকারের মূল অপরাধ হচ্ছে, তারা রাষ্ট্রের আত্মা নষ্ট করে ফেলেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিদেশি সংবাদ সংস্থার রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আর সেটি প্রকাশ করে যে সরকার কতটা বেপরোয়া। প্রতিনিয়ত এ ধরনের আইন দিয়ে জনগণের কথা বন্ধ করতে চায় সরকার।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিচার বিভাগে বিচার পাওয়া ভাগ্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা কোথাও সফলতা নেই সরকারের। তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইন দিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায়। বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নয়, বরং জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই সরকারকে হটাতে আন্দোলন করতে হবে।