
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পরও নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন হিরো আলম। আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন হিরো আলম।
গুঞ্জন উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, সত্যি কিনা?
জবাবে হিরো আলম বলেন, আমি যেখানে প্রার্থী হয়েছি সেখানে আমার সঙ্গে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মতো প্রার্থীই নেই। তাহলে তারা আমাকে কেন টাকা দিতে যাবে। তারা তো আমাকে ভয় পায়। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা এমনিতেই হেরে যাবে। তাহলে টাকা নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই আসে না।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কারণ জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অনেক গুলো কারণ আছে। আমি যেহেতু ভোটারদের আশ্বাসে এমপি প্রার্থী হয়েছিলাম, সেহেতু ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সুস্পষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে আমাকে। আমি আগামী ১৭ তারিখ সেই কারণ বাখ্যা করে জানাব।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর হলফনামাসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্রে স্বাক্ষর না করাসহ নানা ত্রুটির কারণে যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে সেই সময় হিরো আলম উপস্থিত সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক বলেছিলেন, ‘প্রতি বছরই বাতিল হয়। এটা কোনো বিষয় নয়।’
পরে মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পেতে গত ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি। ১০ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফেরতের আপিল মঞ্জুর করে তার পক্ষে রায় দেয় নির্বাচন কমিশন।