
মোঃ তাজুল ইসলাম মিয়াজী:
ওমান প্রতিনিধি ঃ
অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বপ্নের স্কুল (বাংলাদেশ স্কুল সাহাম) নিভে যেতে পারে চারশত অবিভাবকের স্বপ্ন, সেই সাথে হুমকির মুখে পরবে চারশত ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বসবাস করছে, এরভিতর অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে বেশ গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখলেও এই প্রবাসীদের সার্থ সংশ্লিষ্টের দিকে সরকারের তেমন নজর নাই বললেই চলে,
দেশে বেড়ে উঠা নতুন প্রজম্নের জন্য সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকলেও বঞ্চিত হচ্ছেন প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্ম। বিদেশের মাটিতে বাংলা ভাষা শিক্ষার কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় বেশ বিপাকে থাকেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। ন্যাশনাল কারিকুলামে ইংলিশ ভার্ষনে পরিচালিত শুধু এই একটি মাত্র স্কুলই ওমানে রয়েছে।
ওমানে বসবাসরত বাংলাদেশীদের সহযোগিতায় আজ থেকে ১০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ স্কুল সাহাম। দীর্ঘদিন যাবত স্কুলটি ভালমতো পরিচালিত হলেও ইদানিং চরম অর্থের অভাবে পরেছে। মূলত আরবদেশ সমূহে অর্থনৈতিক মন্দার কারনে এর প্রভাব পরেছে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপরও,
তাই প্রবাসী ব্যবসায়ীরা এখন আর আগের মতো সাহায্য সহযোগিতা করতে না পারায় স্কুলটি পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছে স্কুল পরিচালনা কমিটি।
স্কুলটিতে বর্তমানে বাংলাদেশী ছাড়াও ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি ও ওমানি সহ ৪ শত ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। দূরের ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে কলেজের নিজস্ব আবাসিক হোস্টেল, স্কুলটির ৯০% বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রী, স্কুলের পড়ালেখার মান বজায় রাখতে ইতিমধ্যেই ঢাকা ইউনিভার্সিটি সহ দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান থেকে বাছাই করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্কুলের অধ্যক্ষ জনাব এমএস ইসলাম শফিক স্কুলটির সার্বিক বিষয় নিয়ে আমাদের জানান..
ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন ওমানের অন্যান্য বাংলাদেশ স্কুল সহ এই স্কুলটির দায়িত্ব পালন করছেন। স্কুলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সিনিয়র প্রবাসীদের সাথে আলাপ করলে তারাও বিষয়টি স্বীকার করেন।
প্রবাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আমাদের জানান স্কুলটির অনেক সম্ভাবনা থাকার পরেও পর্যাপ্ত পরিমান অর্থ না থাকায় স্কুলটি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারছেনা,
এমন অবস্থা স্কুলটিকে বাচানোর জন্য ওমানের বিত্তবান লোকদের কাছে ও বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জনাব মুহাম্মাদ হাসানুজ্জামান হাসান।