ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ নানা কারণে সামনে হয়ত আরও দুর্দিন আসতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন অবস্থায় দেশে যেন খাদ্য সংকট না হয় সেজন্য উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
রোববার বিকালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় নির্বাচনের আগে যারা জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ, সবার হাতে মোবাইল ফোন, সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা আছে। যারা এই কাজগুলো (জ্বালাও-পোড়াও) করছে তাদের খুঁজে বের করা হবে। ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা জ্বালাও-পোড়াওয়ের জন্য হুকুম দিয়েছে, তাদেরও আমরা গ্রেফতার করছি। আর যেন কেউ এ ধরনের জঘন্য কাজ করতে না পারে, এটাই আমরা চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের অতিমারি, এরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, জিনিসের দাম বেড়েছে। আবার নতুন করে হামলা শুরু হয়েছে। যে কারণে হয়ত আরও সামনে দুর্দিন আসতে পারে। আমাদের মাটি উর্বর, আমাদের মানুষ আছে। এক ইঞ্চি জমি যেন অনাবাদি না থাকে এবং জমি চাষ করা থেকে শুরু করে হাঁস-মুরগি-গরু-ছাগল পালন করতে হবে।
খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে, বাংলাদেশেও জিনিসের দাম বেড়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের খাবারের যেন কোনো অভাব না হয়, সেটা আমাদের করতে হবে, নিজেদের করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, শক্ত একটি ঘাঁটি আছে বলেই যেকোনো ষড়যন্ত্র আমি মোকাবিলা করতে পারি। আপনারা আমার শক্তি। টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়ার মানুষই আমার বড় শক্তি, বাংলাদেশের জনগণ আমার শক্তি। আগামীতেও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ, এখন যেগুলো বাকি আছে আমরা সেগুলো করব। গ্রামের মানুষ শহরের সব নাগরিক সুবিধা পাবে। আমার গ্রাম আমার শহর, সেভাবে প্রত্যেকটা গ্রাম গড়ে তুলব। যাতে কোনো মানুষের কষ্ট না হয়।