কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে যুবলীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন সরকার মানিক। নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় জেলার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার এলাকায় তাকে কুপিয়ে হাত-পা ও নাকের অংশ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সন্ত্রাসীরা।
মঙ্গলবার কুমেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ওই যুবলীগ নেতার স্বজনদের আহাজারি। এদিকে ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও এখনো মামলা দায়ের করতে পারেনি ভিকটিম পরিবার। আহত মানিক দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
স্বজনরা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মানিক নৌকার প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের পক্ষে মাঠে জোরালো ভূমিকা পালন করেন। এতে প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। নির্বাচন শেষে বেশ কয়েক দফা তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
প্রতিদিনের মতো রোববার ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করতে বাড়ি থেকে বের হন মানিক। ওতপেতে থাকা একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী মসজিদের অদূরে তার ওপর হামলা করে। কয়েকজন মিলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাত-পা এবং নাক অর্ধ বিচ্ছিন্ন করে। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে তাকে কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। মঙ্গলবার তার হাত-পা এবং নাকে অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, মানিক এখনো শঙ্কামুক্ত নন।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি নয়ন মিয়া জানান, যুবলীগ নেতা মানিককে কুপিয়ে আহত করার ঘটনাটি শুনেছি কিন্তু কোনো অভিযোগ পাইনি। তাদের মামলা করতে বলেছি। আমরা সহিংসতার ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেব না।