
মাহমুদুল হাসান:টাঙ্গাইল প্রতিনিধি;
গোপালপুর-ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল-২) আসনের আগামী জাতীয় একাদশ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত দুই প্রার্থীর মধ্যে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে ১৩৯টি মামলা রয়েছে।সম্প্রতি দায়েরকৃত আরও ২৯টি মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় দেখা যায়, সুলতান সালাউদ্দিনের নামে ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়েরকৃত ১৩৯টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি মামলা বিচারাধীন এবং ৫৭টি মামলা তদন্তাধীন।বেশির ভাগ মামলাই বিস্ফোরকদ্রব্য আইন, সন্ত্রাস দমন আইন, দ্রুত বিচার আইন ও বিভিন্ন ফৌজাদারি দণ্ডবিধিতে দায়ের করা হয়েছে।মামলাগুলো বেশির ভাগই ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হয়েছে।
বর্তমানে তিনি গত মে মাস থেকে কারাগারে রয়েছেন।অতীতে সুলতান সালাউদ্দিনের নামে চারটি মামলা হলেও সবগুলো থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন।
টাঙ্গাইল-২ আসনে তার ভাই জেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল আলম তোফার বিরুদ্ধেও বর্তমানে দুটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া অতীতে একটি অস্ত্র মামলায় সাজা হয়েছিল। পরবর্তীতের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে।
শামসুল আলম তোফা (টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি) জানান, বর্তমান সরকার আসার পর তার ভাই সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একের পর এক হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে যাতে অংশ নিতে না পারে সেজন্য এ মামলাগুলো করা হয়েছে।সব মামলাই উদ্দেশ্য প্রনীত।
টাঙ্গাইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনির ও বর্তমান এমপির ছেলে খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তবে তানভীর হাসান ছোট মনিরের বিরুদ্ধে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সাতটি মামলা হয়েছিল। সবগুলোতেই তিনি খালাস পেয়েছেন।