মোঃতাজুল ইসলাম মিয়াজী:ওমান প্রতিনিধি ঃ
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে ওমান প্রবাসী সাদেকের সরকারের মরদেহ দেশে পাঠানো হয়েছে। বেসরকারি বিমানের একটি ফ্লাইটে করে তার মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এতদিন তার মরদেহ দেশে পাঠানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ওমান অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
গত ১৫ নভেম্বর কর্মস্থলে যাওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সাদেক সরকার। পরে তার সহকর্মী আশিক খান ও স্থানীয় কয়েকজন বাংলাদেশি তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর সাদেকের লাশ দেশে পাঠানো নিয়ে তোড়জোড় শুরু হলেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা এবং দেশটি থেকে প্রবাসীদের লাশ বহনে বাংলাদেশ বিমানের জটিলতা থাকায় বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয় কমিউনিটি নেতাদের।
পরে দূতাবাস তার কাগজপত্র তৈরি করলেও লাশ বহনে বাংলাদেশ বিমানের অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি নিয়ে বেশ তৎপর হয় দূতাবাস। এরপর দেশটিতে বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার বিষয়টি দূতাবাসকে জানান। যেটা আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এরপর দূতাবাস সাদেকের মরদেহ দেশে পাঠাতে কমিউনিটির বিশিষ্টজন এবং বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতা নিয়ে বেসরকারি বিমানে করে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
সহায়তা দিলেন যারা :
এমতাবস্থায় আর্থিক সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ দূতাবাস, চট্টগ্রাম সমিতি ওমান, বরকত আলী, আবুল হাসান ও নাসির হোসেন। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লাখ টাকা ব্যয়ের মাধ্যমে সাদেক সরকারের মরদেহ দেশে পাঠিয়েছে তারা।
ওমানে প্রবাসীদের এমন করুণ অবস্থা থেকে বিশিষ্টজনেরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন :
১. ফ্রি ভিসায় বিদেশ না যাওয়া
২. বিদেশ এসে অবৈধ না হওয়া
৩. বৈধ কাগজপত্র সবসময় সাথে রাখা
৪. অবৈধ কাজ থেকে সম্পুর্ণ দূরে থাকা
৫. প্রতিটা প্রবাসীর ইন্স্যুরেন্স এর ব্যবস্থা করা
৬. অতিরিক্ত মানুষিক চাপ না নেওয়া
৭. পরিবারের পক্ষথেকে টাকার জন্য বেশি চাপ প্রয়োগ না করা ইত্যাদি।