ইউক্রেনের পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তুমুল লড়াই চলছে, যেখানে রাশিয়ার বাহিনী শুক্রবার আকস্মিক অভিযান শুরু করার পর ৯টি গ্রাম দখল করার দাবি করেছে। এই অভিযানের মাধ্যমে রাশিয়া ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে নতুন একটি রণাঙ্গন খুলেছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানায়, রোববার সীমান্তের পাঁচটি এলাকায় রাশিয়া ২২টি হামলা চালায়, যার মধ্যে ১৪টি চলমান ছিল।
তারা বলছে, খারকিভ-এর পরিস্থিতি খুব জটিল এবং পরিবর্তনশীল।’
সোমবার খারকিভের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ সামাজিকমাধ্যমে বলেন, বিগত ২৪ ঘণ্টায় ৩০টিরও বেশি শহর এবং গ্রামের ওপর শত্রুর আর্টিলারি এবং মর্টার আক্রমণ হয়েছে। যাতে কমপক্ষে ৯ জন আহত হয়েছে।
ওলেহ সিনিয়েহুবভ বলেন, কয়েকটি এলাকায় রুশ জঙ্গি বিমান থেকে হামলা চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযান শুরু হবার পর থেকে প্রায় ছয় হাজার মানুষকে তাদের বাড়ি-ঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সীমান্তবর্তী শহর ভভচান্সকে মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ বাসিন্দা রয়ে গেছে। যুদ্ধের আগে এই শহরের জনসংখ্যা ছিল দুই হাজার ৫০০।
সিনিয়েহুবভ বলেন, রোববার ভভচান্সকে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করা হয়।
সোমবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা খারকিভের উত্তরে রাশিয়ার বাহিনীকে লুকিয়ান্টস্কি গ্রামের কাছে আসতে বাধা দিয়েছে।
তবে তারা বলেছে, রাশিয়ানরা সেখানে আংশিক সাফল্য অর্জন করেছে এবং ভভচন্সক শহরে পাঁচ ব্যাটালিয়নের মতো উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় সেনা মোতায়েন করতে সক্ষম হয়েছে।
সিনিয়েহুবভ এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, খারকিভ অঞ্চলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এলাকা এবং রণাঙ্গনের এলাকা বেড়ে চলেছে।
তিনি বলেন, রাশিয়ানরা ইচ্ছা করে তা বাড়াচ্ছে, নতুন এলাকায় ছোট ছোট দলে আক্রমণ করছে।
সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের সেনাবাহিনী ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের চারটি লোকালয়ে তাদের অবস্থানের উন্নতি করেছে-ভেসেলে, নেস্কুচনে, ভভচান্সক এবং লিপ্টসি।
সামাজিকমাধ্যম টেলিগ্রামের চ্যানেল ডিপস্টেট, যারা বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর সংগ্রহ করে, জানায় যে, গত দুই দিনে মস্কোর বাহিনী ৪১ বর্গ মাইল বাঁ ১০৬ বর্গ কিলোমিটার এবং সাতটি গ্রাম দখল করেছে। গ্রামগুলো ইতোমধ্যে জনশূন্য হয়ে গেছে।
ডীপস্টেট চ্যানেল, যারা ইউক্রেন সামরিক বাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ, বলে যে, রাশিয়ার লক্ষ্য হচ্ছে ইউক্রেনের বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আটকে রাখা, যখন খারকিভের দক্ষিণ-পূর্বের দোনেৎস্ক অঞ্চলেও তুমুল লড়াই চলছে।