সাফল্য আসায় কুষ্টিয়ার কৃষকদের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। অসময়ের রঙিন তরমুজের ভাল দামও পাচ্ছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া অফিসের তথ্যমতে- জেলায় এবার প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে সূর্যডিম, ব্লাকবেরী ও গোল্ডেন ক্লাউনসহ বিভিন্ন জাতের গ্রীস্মকালীন তরমুজ। আগের বছর দুঈ-একজন বিচ্ছিন্নভাবে এক বা দুই হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হওয়ায় এবার এই চাষের হার বেড়েছে।
অনেকেই আবার তামাক চাষ বন্ধ করেও আগামজাতের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। অসময়ের এই তরমুজের ভাল দাম পাওয়ায় অধিক লাভ হচ্ছে কৃষকদের। কুষ্টিয়া শহরের ফলের দোকানগুলোছাড়াও মোড়ে মোড়ে ভ্যানের ওপর এসব তরমুজ বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে সাশ্রয়ী মূল্যে টাটকা তরমুজ কিনতে ছুটে যাচ্ছেন ক্ষেতেও।
গত বছর মাত্র ২০ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে প্রায় দুই লাখ টাকা লাভ করেন কুমারখালী উপজেলার মিরপুর গ্রামের কৃষক শামীম আহমেদ। তিনি বিদেশ থেকে ফিরে এই চাষে মনোযোগী হন। তার দেখে এবার কুমারখালী, মিরপুর ও দৌলতপুর উপজেলাতেও কৃষকরা এই চাষ শুরু করেছেন। বিভিন্ন রঙের তরমুজের চাষ হলেও হলুদ, কালো ও গাড় সবুজ রঙের তরমুজের চাষই বেশি হচ্ছে।
দৌলতপুরে বিদেশ ফেরত জিয়ারুল ইসলাম এবার তরমুজ চাষে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। একই অবস্থা সেখানকার সান্টু আলী নামের অপর কৃষকের। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিয়ে ভালই সহযোগিতা করেছে। এবার ভাল লাভ পাওয়ায় আগামীতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ আরও বাড়াবেন বলে জানান তিনি।
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, গ্রীষ্মকালীন রঙিন সুস্বাদু ও রসালো ফল। আমরা বাড়ির আঙিনায় বা পতিত জমিতেও মাত্র দুই মাস মেয়াদী তরমুজ চাষ করার পরামর্শও দিচ্ছি। আগামীতে এই চাষ আরো বাড়বে বলে আশা কৃষি বিভাগের।