দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাতকানিয়া মডেল হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ফজলুল রহমান মুরাদ কে ভূল চিকিৎসায় হত্যার প্রতিবাদে সাতকানিয়া মডেল হাই স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রদের উদ্যোগে অদ্য ২০ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সম্মুখে সাতকানিয়া পৌর মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক মো:এনামুল হকের সভাতিত্বে ও স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র হেলাল উদ্দিনের স ালনায় এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমান ছাত্রদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তাক আহমদ আঙ্গুর, স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি, সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন ওসমান গণি, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম, এড. আমান উল্লাহ আমান, আমিনুল হক কায়সার, শহীদুল আলম লিটন, জায়েদ মাহমুদ, মোঃ জয়নাল আবেদীন, আরাফাত উল্লাহ, হারুন উর রশিদ, শাহ নেওয়াজ, মোঃ আকিব, রুহুল আমিন, সাকিব, কাউসার ইকবাল গালিব, জাহেদুল ইসলাম, ফয়সাল আব্দুল্লাহ, মিজানুর রহমান, হাসান মুরাদ, মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, সাতকানিয়া মডেল হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ফজলুল রহমান মুরাদ টিভি রোগে আক্রান্ত হয়। কিন্তু তিনি চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে চট্টগ্রাম মেডিকাল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ তাপস মিত্র, ডাঃ মোঃ জিল্লুর রহমান ও চট্টগ্রাম মেডিকেল রেসপিরেটরী মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ শিমুল কুমার ভৌমিক যৌথভাবে একটি রির্পোট তৈরি করে। রির্পোটে শিক্ষক সৈয়দ ফজলুল রহমান মুরাদ কে টিবি রোগে আক্রান্ত না বলে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা বলেন ডাক্তাররা। উক্ত রির্পোটের ওপর ভিত্তি করে সৈয়দ ফজলুল রহমান মুরাদ কে ক্যান্সার রোগের কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। এই অবস্থার অবনতি হলে শিক্ষক সৈয়দ ফজলুল রহমান মুরাদ কে ভারতের এ্যপোলো ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সকল প্যথোলজিক্যাল পরীক্ষা শেষে ডাক্তাররা তার শরীরের কোথাও ক্যান্সার নেই বলে জানান। কিন্তু টিবি রোগে আক্রান্ত রোগীকে কেমো দেওয়ার কারনে রোগী
ঝুকিতে আছেন বলে জানান ভারতীয় ডাক্তাররা। পরবর্তী চার দিন অতিবাহিত হওয়ার গত ১২ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টার দিকে কোমোথারাপির কারনে ফুসফুস ফেটে গিয়ে ভারতে মৃত্যু বরন করেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা ঘাতক ভুল চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানান।